বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার পক্ষে রাস্তায় নেমেছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে চড়িয়েছিলেন গলা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একত্ব প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী। দেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পতন ঘটে স্বৈরাচারী সরকারের।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালন হয়েছে। একজন সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল অভিনেত্রীর। বছর শেষে প্রত্যাশার কতটুকু পূরণ হয়েছে তা জানতে চাইলে ঢাকা মেইলের কাছে অপ্রাপ্তির ঝাঁপি উল্টে বলেন, ‘স্বপ্ন অনেক বেশি ছিল। অনেক পরিবর্তন আশা করেছিলাম। সে তুলনায় কোনো রকমের পরিবর্তন দেখতে পাইনি।’

কথার সূত্র ধরে অভিনেত্রী আরও বললেন, ‘উল্টো মব কালচার তৈরি হয়েছে। নারীর প্রতি বিদ্বেষ বেড়েছে। মাজার, ভাস্কর্য, ৩২ নাম্বার ভাঙা হয়েছে। মবকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এবং শিল্পীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো আগেরই ব্যবস্থা। আগের ব্যবস্থার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি। খুব একটা পরিবর্তন দেখছি না।’
অভ্যুত্থানের পর অনেকে সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন। আর আপনাকে হতে হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত সাইবার বুলিংয়ের শিকার- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, আমি কোনো জায়গায় যাইনি। এটা আমার সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল। দ্বিতীয়ত, আক্রমণ আমাকে আগেও করত। জুলাই আন্দোলনের সময়ও করা হয়েছে। এখনও করা হচ্ছে। এটা খুবই নিন্দনীয় কাজ।’

তিনি যোগ করেন, ‘যারা মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকার থাকলেই ভালো ছিল তাঁদের একটা গ্রুপ এসবের সাথে জড়িত। এছাড়াও কিছু কাছের পরিচিত মানুষ, সহকর্মীরা আক্রমণ করেছেন। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। একজন কী ধরনের ব্যবহার করবে তা তো আমি নির্ধারণ করতে পারব না।’
বলে রাখা ভালো, আন্দোলনের পরে অভিনেত্রীকে বিভিন্ন সময় সাইবার বুলিয়েং শিকার হতে হয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হয়েছিল অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ভারতীয় গয়েন্দা সংস্থা ‘র’ সহ বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন! তবে এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানান অভিনেত্রী।

