সম্প্রতি সময় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে সিনেমা পাইরেসি। যা ভাবিয়ে তুলেছে বিনোদন সংশ্লিষ্টদের। পাইরেসি কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নির্মাতা, প্রযোজক এবং অভিনয় শিল্পীরা। পাইরেসির কবলে পড়ে বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে বড় বাজেটের সিনেমা। এবার পাইরেসিকে মহামারির সঙ্গে তুলনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা ও নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন।
আজ শুক্রবার (২৭ জুন) সামাজিক মাধ্যমে পাইরেসি ইস্যুতে জীবন লিখেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, পাইরেসি বন্ধ করতে না পারলে হয়তো দুই-একটা সিনেমা বিচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা করতে পারবে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি কখনোই দাঁড়াতে পারবে না! আমি আমার সব কিছু দিয়ে সিনেমা বানাব আর কিছু লোক শুধু পাইরেসি করে বসে বসে টাকা কামাবে। এটা তো হতে পারে না।’

তিনি শুধু নিজের নয়, পুরো ইন্ডাস্ট্রির হয়ে কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমা পেশার সঙ্গে জড়িত সবাইকে অনুরোধ করব এই ইন্ডাস্ট্রিটা শুধু একজন প্রডিউসার বা একজন ডিরেক্টরের না! একজন প্রডিউসার বা ডিরেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হলে কমবেশি সবাই হবে। তাই সবাইকেই একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।’
অভিনেতা ও নির্মাতা যোগ করেন, ‘পাইরেসি একটা মহামারি। পাইরেসি একটা যুদ্ধ। পাইরেসি একটা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা ৭১-এ জয়ী হয়েছি। আমরা ২৪-কে নিজেদের করে নিয়েছি। আমরা কোভিডকে প্রতিহত করেছি। আমরা পাইরেসিকেও প্রতিহত করতে পারব। শুধু নিজের বিবেককে একটু জাগ্রত করতে হবে। রাষ্ট্রকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘আপনাকে একবার হলেও বলতে হবে, আমি পাইরেসির পক্ষে না। আমি পাইরেসিকে সমথর্ন করি না! ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি যদি মৃত্যুদণ্ড হয়, তাহলে যে পাইরেসি করে তার শাস্তিও মৃত্যুদণ্ড হোক! তারা তো আমাকে, আমার সিনেমাকে ধর্ষণই করছে। দিনে-রাতে প্রতিমুহূর্তে।’
তিনি যখন এমন মন্তব্য করলেন তখন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে তাঁর নির্মিত ‘চক্কর’ সিনেমাটি পাইরেসি হয়েছে। এছাড়া কোরবানি ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমাও পাইরেসির কবলে পড়েছে।
ইএইচ/

