দেরিতে হলেও ঈদের সিনেমার তালিকায় নিজের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছে ‘এশা মার্ডার’। তৃতীয় সপ্তাহ এসেও সিনেমা হলে দাপট দেখাচ্ছে। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসিত পূজা এগনেজ ক্রুজ। দর্শকরা চরিত্রের নামে ডাকছেন তাকে। এবার পর্দার এশা জানালেন পেছনের সংগ্রামের গল্প।
নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে পূজা লিখেছেন, ‘তুমি দেখতে সুন্দর, হাইট ভালো, নাচতে পারো, গাইতে পারো, থিয়েটার করছ… হবে হবে সব হবে। নামকরা মানুষদের থেকে এসব শুনতে শুনতে লাক্সের পর আরও সাতটি বছর কেটে গেল। একদম চাকরির ইন্টারভিউতে যেমন এক্সপেরিয়েন্স লাগে। নতুনদেরকে কোনো কাজ না দেখেই নেয় কে!’

এরপর লেখেন, ‘ঠিক যখন ধরেই নিলাম সব স্বপ্ন সত্যি হবে এমন কোনো কথা নেই মনে মনে হাল ছেড়ে দিলাম… ঠিক তখনই এন্ট্রি টেরিজমের সানি সানোয়ারের একটা ফোন কল আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এলো। যিনি তার সিনেমায় পুলিশ পেশাকে সব সময় নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করে থাকেন। এবার ওনার গল্প ভিক্টিমকে ঘিরে... সমাজে নারীদের অবস্থান নিয়ে।’
পূজার কথায়, ‘‘এশা মার্ডার’-এর এশাকে খুঁজছেন তিনি। গল্প শোনালেন ফোনেই এবং বললেন অডিশন দিতে হবে। অডিশন দিয়ে আসার প্রায় একমাস পর জানানো হলো আমি সিলেক্টেড। শুরু হলো প্রস্তুতি। তখনকার বাকি কথা অন্য দিন বলব। বর্তমানের কথা বলব এখন। হল ভিজিটে এশা নামে ডাকছেন আমাকে দর্শকরা, সিনেপ্লেক্সে গেলে স্টাফরা আমাকে বলে এশা আপু কেমন আছেন (বিষয়টা বেশ মজার), সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা জনের কমেন্টে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি আমি আমার প্রথম সিনেমাতে এসব কিছু আমার সাথে ঘটছে শুধুমাত্র এই নতুনের ওপর আপনার ভরসার জন্য।’’

পর্দার এশা লিখেছেন, ‘‘আমাকে অনেকেই ফোন করে বলেছেন তোমার অপেক্ষা করা একদমই যথাযথ হয়েছে। সারা জীবন বলতে পারবে ‘এশা মার্ডার’-এর মতো দুর্দান্ত সিনেমা তুমি করেছো তাও নাম ভূমিকায়। সবার ভালোবাসায় আমার শুধু কান্না আসে একটু পর পর। মনে হলো কিছু কথা আজকে জানাই। শুরুতে সবাই নতুন থাকে আর তাদের ওপর প্রথম যিনি আস্থা রাখেন তিনি অনেক বড় আশীর্বাদ। এই নতুন আপনার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ।’’
‘এশা মার্ডার’ নির্মাণ করেছেন সানি সানোয়ার। এতে পূজা ছাড়াও অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ প্রমুখ।

