সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান মানবিক হৃদয়ের অধিকারী। বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ান সবসময়। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছুটে বেড়ান ত্রাণসামগ্রী নিয়ে। সামাজিক মাধ্যমে চোখ রাখলেই তার সেসব কার্যক্রম চোখে পড়ে। এবার এ গায়ক জানালেন নতুন এক সিদ্ধান্তের কথা। দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
সম্প্রতি একটি টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের সিদ্ধান্ত জানান তাসরিফ। কারণ হিসেবে দায়ী করেন দেশে চলমান নানা সামাজিক বৈষম্য, নিরাপত্তাহীনতা এবং মনস্তাত্ত্বিক চাপকে। তবে হতাশ গায়ক কোন দেশে যাচ্ছেন তা এখনও চূড়ান্ত করেননি।
বিজ্ঞাপন
আগামীতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান বা দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা কী আছে? এরকম প্রশ্নের জবাবে তাসরিফ বলেন, ‘দেশের জন্য আমি সারাজীবনই করতে চাই। কিন্তু দেশে আমার থাকার যে অনেক… ছোটবেলা থেকেই বিদেশ শুনলে আমার ভালো লাগত না। কিন্তু বর্তমানে দেশের যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং আমি দেখছি যে নোংরামিই আমি বলব…।’
আরও বলেন, ‘আমি দেশকে অনেক ভালোবাসি। আমার কাছে এগুলো আর ভালো লাগছে না। আমি এগুলো নিতে পারি না, অনেক কষ্ট লাগে। এখন আমার ইচ্ছা করে হয়তোবা আমি দেশে থাকব না। হয়তোবা আগামী দুই-তিন বছর পর আমি দেশের বাইরে চলে যেতে পারি। আর দেশের সেবা করার জন্য আমাকে খুব বড় কিছু হতে হবে না।’
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন গায়ক তাসরিফ খান। গান গেয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন ছাত্রদের। এজন্য খেসারতও দিতে হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে গায়ককে।

