২৩ মে বড়পর্দায় বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে ‘মিশন ইম্পসিবল: ফাইনাল রেকনিং’। টম ক্রুজ অভিনীত সিনেমাটি ঝড় তুলেছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে। মুক্তির পর থেকে রমরমা ব্যবসা করছে সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি ব্যবসা করেছে ২০০ মিলিয়ন ডলার।
স্টার সিনেপ্লেক্সে আসছে 'মিশন ইম্পসিবল', সঙ্গে 'থান্ডারবোল্টস'
বিজ্ঞাপন
প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট নিয়ে ‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’ এখন পর্যন্ত ‘মিশন: ইমপসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি ও প্যারামাউন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি। ছবির প্রচার শুরুই হয় বিতর্ক দিয়ে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ‘মিশন ইম্পসিবল: ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার প্রচারে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে গিয়েছিলেন টম ক্রুজ। সিওলে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বিদেশি নির্মিত চলচ্চিত্রে শুল্ক আরোপ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেন হলিউড তারকা টম ক্রুজ। তিনি বলেন, ‘আমরা সিনেমা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে বেশি আগ্রহী।’

১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইমপসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম কিস্তি মুক্তি পেয়েছিল। এবারের সিনেমাটির মাধ্যমে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি তিন দশকে পা রাখল। প্রথম সিনেমা মুক্তির সময় টম ক্রুজের বয়স ছিল ৩৩, আগামী ৩ জুলাই তিনি ৬৩–তে পা রাখবেন।
বিজ্ঞাপন
বিনোদন সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটি বলছে, এ সিনেমায় নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন টম ক্রুজ। ৩০ বছর ধরে চলা এই সিরিজের সিনেমায় প্রতিবারই পর্দায় পাওয়া যায় চিরতরুণ টমকে। এবার যেন টম ক্রুজ নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন। শুধু চোখধাঁধানো স্টান্ট নয়, চরিত্রের ভেতরের ভয় আর সংকল্পকে মেলে ধরেছেন অবিশ্বাস্য পরিমিতিতে।’

টম ক্রুজ ও ভিং রেমসই একমাত্র দুই অভিনেতা, যাঁরা ‘মিশন: ইমপসিবল’–এর আটটি ছবিতেই অভিনয় করেছেন। ‘মিশন: ইমপসিবল ৮’ছবিতে অন্য যেকোনো কিস্তির তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্ট রয়েছে। এবার টম ক্রুজকে দেখা যাবে এক ভয়ংকর জলের নিচের দৃশ্যে। যেখানে তিনি অভিনয় করেছেন একটি ৮৫ লাখ লিটার পানির ট্যাংকে, যা ডুবে যাওয়া সাবমেরিনের পরিবেশ তৈরি করেছে।
কান ২০২৫-এ রাজনীতি ও প্রযুক্তি আধিপত্যের চলচ্চিত্রগুলোর জয়জয়কার
আরও একটি শ্বাসরুদ্ধকর স্টান্টে, টম ক্রুজ চড়েছেন একটি বাইপ্লেনের ওপরে—সেটিও আবার ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ মাইল গতিতে উড়ছিল। সেই তীব্র গতির বাতাসে নিশ্বাস নেওয়াই হয়ে উঠেছিল চ্যালেঞ্জিং। এমনকি একাধিকবার জ্ঞান হারিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
ইএইচ/

