ভারতের হায়দ্রাবাদে শুরু হয়েছে ৭৪তম বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা। কে হবেন বিশ্বসুন্দরী, কার মাথায় উঠবে সেরার শিরোপা, তা নিয়ে কৌতূহল থাকে সারা বিশ্বের। আর মাত্র চারদিন পর জানা যাবে কে হচ্ছেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড’। এরইমধ্যে হঠাৎ করেই বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন ‘মিস ইংল্যান্ড’ মিলা ম্যাগি। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার ৭৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো প্রতিযোগী নিজের নাম প্রত্যাহার করেছেন। যা নিয়ে সরগরম নেটদুনিয়া। প্রথমে জানা যায় ‘মিস ইংল্যান্ড’ স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সেই আলোচনায় জল ঢেলেছেন খোদ নিজেই। প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আয়োজকদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন মিলা ম্যাগি।

‘মিস ইংল্যান্ড’-এর অভিযোগ বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার আড়ালে প্রতিযোগীদের শোষণ করা হচ্ছে। তার কথায়, ‘নিজেকে যৌনকর্মী বলে মনে হচ্ছিল। বানরকে যেভাবে নাচানো হয়, সেই ভাবে আমাদের পারফর্ম করতে হচ্ছে।’এরপরই তিনি বলেন, ‘আমি কারও মনোরঞ্জনের পাত্রী হতে আসিনি। প্রতিযোগীদের সকাল থেকে মেকআপ করা, পোশাক পরা, সেগুলো বারবার পরিবর্তন করতে হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধনী পুরুষদের সামনে হাঁটানো হচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা সেই পুরনো দৃষ্টিভঙ্গিতেই আটকে রয়েছে বলে দাবি করেছেন মিলা। তিনি বলেন, ‘জোড়ায় জোড়ায় বেছে নেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। প্রত্যেক টেবিলে ছয় জন করে পুরুষ বসে থাকেন। তাদের কাছে দুইজন করে প্রতিযোগীকে পাঠানো হয়। বিচারকদের মনোরঞ্জন করতে।’ এই ঘটনাকে তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না বলে জানিয়েছেন মিস ইংল্যান্ড।

প্রতিযোগীদের সঙ্গে অত্যন্ত অন্যায় হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। মিলার কথায়, ‘‘মিস ওয়ার্ল্ড-এর একটা মূল্যবোধ আছে। কিন্তু এখানে এসে দেখছি সেই পুরনো ধ্যানধারণাতেই আটকে আছে। এই ধরনের ঘটনা নিজেকে যৌনকর্মী ভাবতে বাধ্য করাচ্ছে।’
বিশ্বসুন্দরীর নামে প্রতারণার মামলা
বলে রাখা ভালো, এবারের বিশ্বসুন্দরী ৭৪তম আসরের পর্দা নামবে ৩১ মে। সেদিন জানা যাবে কে হচ্ছেন এবারের বিশ্বসুন্দরী, কার মাথায় উঠছে সেরার শিরোপা।
ইএইচ/

