প্রায় ৪০ বছরের অভিনয় জীবন টলিউডে অনেক অদল-বদল দেখেছেন তিনি। বহু তারকা জুটির ভাঙা-গড়া দেখেছেন। বলছি টলিউডের খলনায়িকা অনামিকা সাহার কথা। এক সময় পর্দা কাঁপানো সিনেমায় নিয়মিত মুখ ছিলেন। এখন বড়পর্দায় অনিয়মিত। তবে অভিনয় করছে ছোট পর্দায়।
এই মুহূর্তে ‘তেতুঁল পাতা’ ধারাবাহিকে দাদির চরিত্রের কাজ করছেন তিনি। এত বছর পর যদি ফিরে দেখেন কোন জুটির কথা মনে পড়ে। ভারতীয় গণমাধ্যমে সেই স্মৃতিই ভাগ করেন অভিনেত্রী। দক্ষিণ কলকাতার বনেদি বাড়ির বৌমা অনামিকা। শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাসুর, দেওর—নিয়ে গোছানো সংসার। অভিনেত্রীর সেই বাড়িতেই অনেক নায়ক, নায়িকার আনাগোনা লেগে থাকত। এমন অনেক নায়ক নায়িকার প্রেমের সাক্ষী এ খলঅভিনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
'পোয়েনজিৎ' থেকে যেভাবে প্রসেনজিৎ হলেন
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার বাড়িতে এই যে লাল সোফা রয়েছে, সেখানে বুম্বা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) আর দেবশ্রী রায় এসে কত গল্প করেছেন।’ পুরনো দিনের স্মৃতিতে ডুব দিলেন অভিনেত্রী। অনামিকা বলেন, ‘দেবশ্রীর দাদা যখন মারা যায়, কী কান্না! গাড়ি করে ওকে আমার বাড়িতে নিয়ে এলাম। তার পর এল প্রসেনজিৎ। এখানে বসেই কত সান্তনা দেয় দেবশ্রীকে।’
প্রসেনজিৎ শেয়াল, যীশু গাধা: রচনা
অনামিকার বাড়িতে সে সময় অনেক ব্যক্তিগত সময় কাটিয়েছেন প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী। সে সময় অভিনেত্রীর মেয়ে অনেক ছোট। অনামিকা বলেন, ‘ওরা গল্প করত। আমার মেয়ে মাঝে মাঝেই চলে আসত। ওদের সঙ্গে কথা বলবে বলে। ভালো সময় কাটিয়েছি আমরা।’ যদিও নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক টেকেনি। তা নিয়ে আক্ষেপও করেন অনামিকা।
বিজ্ঞাপন
ইএইচ/

