আলোচিত-সমালোচিত টিকটকার প্রিন্স মামুন ও লায়লা আখতার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জন্য বছরজুড়ে সমালোচনায় থাকেন। বিচ্ছেদ-মামলা বিতর্কের পর এখন আবারও আলোচনার কেন্দ্রে এ জুটি।
সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে লায়লার বাসায় প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে দেখা যায় মামুনকে। গত রোববার ১১ মে এই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর সেদিন মধ্যেরাতে ‘লিংক ভাইরাল হওয়ার পর মামুনকে নিয়ে এটাই লায়লার শেষ কথা’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন টিকটকার লায়লা।
বিজ্ঞাপন
ওই ভিডিওতে মামুনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এ টিকটকারের। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘প্রিন্স মামুন আমার পেটে লাথি দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করেছে’। এছাড়া মামুনকে নেশা করতে বাঁধা দেওয়ায় শারীরিক নির্যাতন শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন।
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে পেটে লাথি দিয়ে সন্তান নষ্টের অভিযোগ লায়লার
এরপরই মুখ খোলেন টিকটকার প্রিন্স মামুন। লায়লার করা অভিযোগ মেনে নিতে নারাজ মামুন। উল্টো তার দাবি, মাদকাসক্ত লায়লাও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তিনি বলেন, সত্যি বলতে আমি এখন একদম অসহায়। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ফাঁসাচ্ছে লায়লা। বাচ্চা নষ্টের কথা বলছে এটাও পুরো মিথ্যা।’
মামুন দাবি করেন, ‘দিনের পর দিন লায়লা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে যাচ্ছে। এতোদিন তো এইসব বলে নাই তাহলে আজকে কেন হুট করেই বলছে আমি তার বাচ্চা নষ্ট করেছি? শুধু তাই নয় টাকা খরচ করে মিথ্যা বিয়ের কাগজ পত্র বানিয়ে সবাইকে দেখাচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
গত রোববারের লাইভে লায়লা বলেন, ‘সব সময় আপনারা আমাকে খারাপ চোখে দেখেছেন। আপনারা মনে করেন আমিই ভিলেন। কিন্তু বলে রাখি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে কখনও আটকে রাখা যায় না। ২০২৩ সালে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এখন সেই মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ দেয়। আইন সবার জন্য সমান। মামুনের বিরুদ্ধে যে মামলা আছে তা আইনিভাবে চলবে।’
লায়লা বার বার হয়রানি করছে উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে প্রিন্স মামুন বলেন, ‘লায়লা আমাকে ব্যবহার করতো। আমাকে তার কথা মত চলতে আইনি রাস্তা ছাড়াও যা যা করা দরকার সব করতো। আমি আসলে সত্যি খুব অসহায় হয়ে পড়েছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘একজন নারী হিসেবে সুবিধা নিচ্ছে লায়লা। বারবার মামলার হুমকি দিয়ে শারীরিক চাহিদা মেটাতো তার। এমন কি আমাকে ফাঁসানো জন্য আত্মহত্যার হুমকিও দিতো।’
ইএইচ/

