পাকিস্তান-ভারত দ্বন্দ্ব ছড়িয়েছে যুদ্ধের দামামা। পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে দুই দেশ। কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেঁকেছে। যার উত্তাপ ছড়িয়ে দুইদেশের নাগরিকদের মাধ্যে। বাদ যাননি শোবিজ তারকারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে দুই দেশের তারকাদের মধ্যে কথার লড়াই।
ভারতে পাকিস্তানি তারকাদের ছবি প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই বন্ধ হয়েছে পাক-ভারত তারকাদের নিয়ে নির্মিতব্য সিনেমাগুলো। এবার ‘সানাম তেরি কাসাম ২’ সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাওরা হোসেন!
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানে ভারতের হামলা নিয়ে যা বললেন সানিয়া মির্জা
২০১৬ সালে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল বলিউডের রোমান্টিক ট্র্যাজেডি সিনেমা ‘সানাম তেরি কাসাম’। দীপক মুকুটের প্রযোজনায় এই অ্যাকশন-রোমান্টিক ছবিতে তেলুগু তারকা হর্ষবর্ধন রানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন পাকিস্তানি মডেল-অভিনেত্রী মাওরা হোসেন। দুজনেরই অভিষেক হয় সিনেমাটি দিয়ে।
ইন্দর আর সারুর এই ট্র্যাজিক লাভ স্টোরি চোখে পানি এসেছিল দর্শকের। গত বছরের শেষ দিকে আট বছর পর ছবিটির সিকুয়েলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। কথা ছিল ‘সানাম তেরি কাসাম ২’তে প্রধান চরিত্রে আবারও দেখা যাবে হর্ষবর্ধন রানেকে। তার বিপরীতে থাকবেন মাওরা হোসেন। কিন্তু দুই দেশের দ্বন্দ্বের কারণে এখন প্রায় অনিশ্চিত!

বিজ্ঞাপন
এদিক সামাজিক মাধ্যমে ‘সানাম তেরি কাসাম’ সিনেমার দুই তারকার মধ্যেও চলছে কথার লড়াই। মাওরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতকে কঠোর ভাষায় দোষারোপ করেন। তিনি লেখেন, ভারত ড্রোন, মিসাইল ও শেল হামলা চালিয়ে নিরীহ পাকিস্তানি নাগরিকদের হত্যা করছে। মাওরার এই বক্তব্য রানে নিতে পারেননি।
কাশ্মীর হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত: টোটা রায়চৌধুরী
রানে সামাজিকমাধ্যমে এক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘এই সিনেমায় কাজ করাটা ছিল দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এবং আমার দেশের বিরুদ্ধে যেভাবে সরাসরি মন্তব্য করা হয়েছে, সেটা পড়ার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—আগামীতে যদি সিক্যুয়েল হয় এবং পুরনো কাস্ট ফেরত আনার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আমি তাতে অংশ নেব না।’

রানের এমন বার্তা দেখে চুপ থাকেননি মাওরা। ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে তিনি বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ’আমি জানি না এটাকে দুর্ভাগ্য বলব, দুঃখজনক বলব, না হাস্যকর যে মানুষটার থেকে অন্তত সাধারণ বোধশক্তির আশা করেছিলাম, সে হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে PR স্ট্র্যাটেজি নিয়ে হাজির!’
অভিনেত্রী তার পোস্টে রানের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধের সময় সিনেমা নিয়ে কথা বলা লজ্জার।’
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে উচ্ছ্বসিত জিৎ-মিমিরা
মাওরা লিখেছেন, ‘এটা এমন সময়, যখন দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন সময়ে সিনেমা নিয়ে কথা বলাটা শুধু অশোভনই নয়, লজ্জাজনকও। একজন অভিনেতা হিসেবে এতটা অসচেতনতা সত্যিই দুঃখজনক।’
ইএইচ/

