ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি বরিশালের আঞ্চালিক ভাষায় অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়হরণ করেছেন। তাকে চেনেন না এমন মানুষ কমই আছেন। মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয় শুরু করেন।
১৯৬৪ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনা জেলায় জন্মগ্রহণ গুনী এই অভিনেতা। রুমির বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
বিজ্ঞাপন
প্রথম নাটকটি ছিল ‘এখন ক্রীতদাস’। সে বছরই ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। এই যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে।

২০০৯ সালে ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতী’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লেখান। তবে তিনি দর্শকের কাছে পৌঁছান ছোটপর্দার মাধ্যমে। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় বেশকিছু নাটক করেন তিনি। এই নাটকগুলোই তাকে জনপ্রিয় এনে দেয়।
বিজ্ঞাপন
জানাজা শেষে বরগুনার পথে অভিনেতা রুমির মরদেহ
রুমি অভিনীত নাটকের মধ্যে ‘সাজেশন সেলিম’, ‘বোকাসোকা তিনজন’, ‘মেকাপ ম্যান’, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘ঢাকা মেট্রো লাভ’, ‘বাপ বেটা দৌড়ের উপর’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, জমজ-৫’, ‘জমজ-৬’, ‘জমজ-৭’, ‘জমজ-৮’, ‘জমজ-৯’, ‘জমজ-১০’ উল্লেখযোগ্য।
মায়ের পাশে সমাহিত হলেন অভিনেতা রুমি -
২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল মরণব্যাধি ক্যানসারের কাছে হার মেনে ওইদিন ভোর ৩টা ৫৮ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে যান অভিনেতা রুমি। রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আজ অভিনেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
ইএইচ/

