টলিউডের গুনী নির্মাতা অরিন্দম শীল পরিচালনা করেছেন ‘হর হর ব্যোমকেশ’ ও ‘ঈগলের চোখ’-এর মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমা। গত বছর নবীন প্রজন্মের এক অভিনেত্রী নির্মাতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।

বিজ্ঞাপন
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। ঠিক তখনই টলিউডের একাধিক ব্যক্তির নামে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। তাদের মধ্যে ঘুরেফিরেই অরিন্দম শীলর নাম বেশি উচ্চারিত হচ্ছিল। যৌন হেনস্থার অভিযোগে আসতেই ডিরেক্টরস গিল্ডের থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছিল। এবার টলিউডের ‘তথাকথিত বন্ধুদের’ বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পরিচালকের।
ফের রহস্য উদঘাটনে নামছেন সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘একটা শুটিং ফ্লোরের মধ্যে এমন ঘটনা কী করে ঘটতে পারে? সেটা সবার ভেবে দেখা উচিত ছিল। পরিচালক হওয়ার পাশাপাশি আমি যেহেতু অভিনেতা, সে কারণে অনেক দৃশ্য অভিনয় করে দেখাই।’

বিজ্ঞাপন
তিনি যোগ করেন, ‘এ ঘটনাটা যখন ঘটল, তখন শুটিং ফ্লোরে সব কলাকুশলী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু যখন অভিযোগ উঠল, তখন একজনকে সবাই মিলে আক্রমণ করার সুযোগ পেয়েছে। আর সেটাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এ ঘটনায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন এই নির্মাতা। পরিচালকের ভাষ্যে, ‘অভিযোগকারিণীর কাছের এক মানুষ ফেডারেশনের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে ফোন করে চারজন টেকনিশিয়ানকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়াতে চেয়েছিলেন। আমার সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন যেসব অভিনেত্রী, তাদের বলা হয়েছে, কী রে, তোরা কিছু বলছিস না কেন!’

সবশেষ তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনেকের রাগ আছে। একজন অভিনেত্রী বিদেশে গিয়ে চুরি করেছিলেন। জেলে যেতে-যেতে বেঁচেছেন! অন্য সিনিয়র ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাকে সে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে ডাকা হয়েছিল। এর বাইরেও অনেকের রাগ থাকার কারণ রয়েছে। আমাকে যে অনেকে মিলে ফাঁসানো হয়েছে, সেখানে আমার তথাকথিত সহকর্মী-বন্ধুরাও জড়িত।’
আমেরিকায় হোটেল কক্ষে আগুন, প্রাণ বাঁচাতে ছুটলেন চঞ্চল, শ্রাবন্তীরা
অভিনেতা হওয়ার জন্যে তিনি আমেরিকায় পিএইচডি করার সুযোগ ত্যাগ করেন। এরপর ২০১২ সালে পরিচালনা করেন প্রথম চলচ্চিত্র ‘আবর্ত’। যা দর্শক সমালোচকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসা পায়।
ইএইচ/

