বাংলা সাহিত্যে শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের লেখা গোয়েন্দা থ্রিলার ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ সিরিজ বড় জায়গা দখল করে আছে। শুধু তাই নয়, সিনেমার পর্দায়ও ব্যোমকেশ জনপ্রিয় একটি নাম। বিভিন্ন সময়ে এই থ্রিলার উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করেছেন টলিউডের নামজাদা পরিচালকরা।
এর আগে ব্যোমকেশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবে এবার পরিচালকের ভরসা আবির।
এবার তার একটি অসম্পূর্ণ গল্প ‘বিশুপাল বোধ’-কে বড় পর্দায় নিয়ে আসছেন অরিন্দম শীল। পরিচালক ও পদ্মনাভ দাশগুপ্ত মিলে অসম্পূর্ণ উপন্যাসটি সম্পূর্ণ করেছেন। যদিও এই ছবির নাম এখনও ঠিক হয়নি। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করবে এসভিএফ ও ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনস।
এর আগে ব্যোমকেশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবে এবার পরিচালকের ভরসা আবির। রহস্য উদঘাটনের দায়িত্বটা তিনিই সামলাবেন। তার স্ত্রী সত্যবতীর চরিত্রে থাকবেন সোহিনী সরকার। বন্ধু অজিতরূপে হাজির হবেন সুহত্র মুখোপাধ্যায়।
এই নিয়ে চর্তুথবারের মতো ব্যোমকেশ নির্মাণ করছেন অরিন্দম শীল। এ প্রসঙ্গে একটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “চতুর্থবার ‘ব্যোমকেশ’ ছবিটি পরিচালনা করব, তাই আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এটি একটি অসম্পূর্ণ গল্পের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে। গল্পটি সম্পূর্ণ করা পদ্মনাভ ও আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমার আগের ‘ব্যোমকেশ’ ছবিগুলোর জন্য যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি দর্শক থেকে, এবারও ততটা ভালোবাসা সকলে দেবেন বলে আমি আশা করছি।”
বিজ্ঞাপন
অরিন্দম আরও বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত যতগুলো ছবি করেছি, তারমধ্যে ব্যোমকেশের ছবিগুলো সবসময়ই আমার মনের খুব কাছের। সর্বোপরি, এসভিএফ আমার ব্যোমকেশের ছবিগুলোকে বড় আকারে তৈরি করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের ছাড়া আগের ব্যোমকেশের ছবিগুলো এতটা সুন্দরভাবে করা সম্ভব হত না।’
ছবির গল্পে দেখা যাবে, একটি থিয়েটারে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যোমকেশ বক্সী। প্রতিশোধের এক ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। মঞ্চের একেবারে মাঝখানে ঘটে যাওয়া এক অপরাধের সাক্ষী হন। ব্যোমকেশ যখন কেসটির গভীরে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন, ধীরে ধীরে সামনে আসে আরও সত্যি। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা।
নতুন এই ছবির মাধ্যমে ১৯৭১ সালের পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি ফুটে উঠবে, যেখানে ব্যোমকেশ খুনের রহস্য উন্মোচন করবেন। সেই সময়ের বাংলায় উত্তাল নকশাল বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে তৈরি হবে সেট। সবকিছু ঠিকটাক থাকলে চলতি বছরের মে মাসে শুরু হবে ছবির দৃশ্যধারণের কাজ।
আরএসও

