রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘পরীমণির চরিত্রে কালি লেপনের জন্য গৃহকর্মীকে ব্যবহার করা হচ্ছে’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘পরীমণির চরিত্রে কালি লেপনের জন্য গৃহকর্মীকে ব্যবহার করা হচ্ছে’

ঢালিউডের আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজধানীর ভাটার থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন ওই ভুক্তভোগী। ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এদিকে নিজেকে পরীমণির গৃহকর্মী দাবি করা পিংকি আক্তারের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে। সেখানে তার কথাবার্তায় সন্দেহ পোষণ করছেন নেটিজেনদের অনেকে। লেখক তসলিমা নাসরিনও আছেন এ তালিকায়। তিনি মনে করছেন পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে তথাকথিত এই গৃহকর্মীকে। 


বিজ্ঞাপন


আজ রোববার নিজের ফেসবুকে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘পরীমণির সুসময়ে আমি পাশে থাকি না। ওঁর দুঃসময়ে আমি ছুটে আসি । আবার ওঁর আঙিনায় দুঃসময় এসে দাঁড়িয়েছে। এক নারী গৃহপরিচারিকার চাকরি নিয়ে ওঁর বাড়িতে ঢুকেছিল। কিছুদিন পর সে বেরিয়ে এসে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে, আর মিডিয়াও বেশ ফলাও করে নারীর সাক্ষাৎকার ছাপাচ্ছে, যেন নারী যা বলছে সবই সত্যি। মিডিয়ার চরিত্র আমরা জানি।’

এরপর লিখেছেন, ‘নারী, বিশেষ করে সে নারী যদি ব্যতিক্রমী, সাহসী, প্রতিভাময়ী হয়, তাহলে তার সর্বনাশ না করে ছাড়বে না মিডিয়া। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো, রক্ষণশীলতা আঁকড়ে রাখা, ক্ষমতার চাটুকারিতা বাংলাদেশের মিডিয়ার বিশেষ দোষ। মিডিয়া তো সমাজের রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক লোকদেরই তৈরি। এ আর নারীবিদ্বেষী সমাজ থেকে আলাদা কী হবে! পরীমণিকে আক্রমণ করার জন্য, তাঁর চরিত্রে কালি লেপনের জন্য মহিলাটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যবহৃত হয়ে যাওয়ার পর নারীকে কিন্তু মিডিয়াও ছুঁড়ে ফেলে দেবে আস্তাকুঁড়ে। কোনও সৎ মিডিয়া কিন্তু কোনও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে এক তরফের বক্তব্য নিয়ে মেতে ওঠে না, দুই তরফের বক্তব্যই গ্রহণ করে। নিরপেক্ষ থাকা মিডিয়ার জন্য অবশ্য কর্তব্য হলেও সেটিকেই তারা সবচেয়ে বেশি অবজ্ঞা করে।’

লেখক যোগ করেন, ‘গৃহপরিচারিকার চাকরি করতে আসা মহিলাটি যে মিথ্যে কথা বলছে তা সহজেই অনুমেয়। তার বর্ণিত চড় খেয়ে মুর্চ্ছা যাওয়ার ঘটনাটি যথেষ্ট সন্দেহ সৃষ্টি করে। পরীমণির বিরুদ্ধে সে যে নোংরা ভাষায় কথা বলেছে, তাতে মনে হয় সে বদ একটি উদ্দেশ্য নিয়ে পরীমণিকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে, এবং এই ষড়যন্ত্রে তাকে অনেকেই সাহায্য করছে।’

সবশেষে তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘পরীমণির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তার জঘন্য মন্তব্য সব রকম সীমা অতিক্রম করেছে। পরীমণি কার সঙ্গে কথা বলবে, খাবে, ঘুরবে, বেড়াবে, শোবে, তা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। সম্মানীয় শিল্পীর বিরুদ্ধে অসম্মানজনক বাক্যাবলি উচ্চারণ করার জন্য মহিলাকে উৎসাহ দেওয়া বা উসকে দেওয়া এবং সেসব অবাধে প্রচার করা মিডিয়ার উচিত হয়নি। আদালতের উচিত নয় নারীবিদ্বেষী ষড়যন্ত্রের মামলাকে গ্রহণ করা। এই সত্যিটা সবারই জানা উচিত, গরিব হলেই মানুষ সৎ হয় না। গরিবরাও অসৎ, ধুরন্দর, বদমাশ, মিথ্যুক, নিষ্ঠুর, চোর, ডাকাত, ধর্ষক, খুনী হতে পারে।’

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর