সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট মঙ্গলবার সকালে সোশ্যালে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবাকে যাদের অবস্থান ছিল ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে!
তারা মত দেন যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে। আরেকজন শিল্পী পরামর্শ দেন ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার জন্য। গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা ১৬০ জন। ঢালিউড অভিনেতা সাইমন সাদিকের নামও রয়েছে তালিকায়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কথা বললেন সাইমন। জানালেন বড়রা অ্যাড করায় গ্রুপ ত্যাগ করতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুকে সাইমন লেখেন, মন্তব্য করার আগে পড়বেন প্লিজ। এটা মনে হয় জানেন— যেকোনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আপনি যতজনকে খুশি যুক্ত করতে পারেন। বিষয় হচ্ছে আপনি সে গ্রুপে কী লিখেছেন বা আপনি সক্রিয় ছিলেন কি না।
‘আলো আসবেই’ গ্রুপে নিজের কোনো সক্রিয়তা ছিল না দাবি করে সাইমন বলেন, আপনারা মনে হয় দেখেছেন,আমাকে ওনারা অ্যাড রেখেছিলেন কিন্তু আমার কোনো রিয়েকশন ছিল না। আমার ভুল হয়েছে, ওনারা আমাকে যুক্ত করার পর কেন লিভ নিলাম না।
কারণ ব্যাখ্যা করে অভিনেতা বলেন, আর আপনি বলুন তো, একই পেশার বড়রা যখন আপনাকে একটা গ্রুপে অ্যাড করত আপনি কি করতেন?
এরপর স্ক্রিনশট ফাঁসকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে নায়ক বলেন, যিনি আলো আসবেই গ্রুপে থেকে স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস করেছেন, তিনি কেন তখন লিভ নেন নাই?) নিশ্চই তখন সুবিধা নেওয়ার ধান্দায় ছিল!
সবশেষে সাইমন লেখেন, আমাকে বারবার ফোন করা হচ্ছিলো আমি যেন বিটিভিতে গিয়ে আন্দোলনে দাঁড়াই। আমি বারবার না করার পর বলল যে ঠিক আছে,তুমি আসতে পারবে না সেটা অন্তত গ্রুপে লিখে দাও! এটা যদি অনেক বড় অপরাধ হয় আমি অপরাধী। সবাই সুন্দর থাকুন,স্বাদ নিন।
এ আরাফাত ও ফেরদৌসের ওই গ্রুপে সাইমন সাদিক ছাড়াও ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেম প্রমুখ।