অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনকে সাধারণত গল্পের নায়ক হিসেবে দেখা যায়। তাকে ঘিরেই এগিয়ে যায় কাহিনি। তবে এবার এই নায়ক আত্মপ্রকাশ করছেন প্রযোজক হিসেবে। ঢালিউডের নন্দিত নায়ক-নায়িকা সোহেল চৌধুরী ও দিতির কন্যা লামিয়া চৌধুরী সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। এ ছবির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকছেন বাঁধন।
সংবাদমাধ্যমকে খবরটি বাঁধন নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম, যে গল্পটা আমি বলতে চাই, দেখতে চাই, সেটা যদি বলতে পারতাম! যেহেতু আমি লেখক নই, আবার পরিচালনাকে আমার কাছে খুব কঠিন কাজ মনে হয়। তো একবার দিতি আপুর কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার সময় লামিয়ার সঙ্গে গাড়িতে বসেই আলাপ হয়। ওর গল্পটা আমাকে জানায়। ওই মুহূর্তেই আমি ওকে বলেছিলাম, কাজটি করতে চাই। কারণ আমি একজন নারী লেখক-নির্মাতাকেই খুঁজছিলাম মনে মনে।’
এরপর বলেন, ‘মিডিয়াতে নারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প বলার জায়গাটা খুব কম। এ কারণেই আমি ভেবে রেখেছি, যখন নিজের প্রযোজনায় কিছু করব, সেটা যেন নারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা গল্প হয়। এই গল্পটা খুবই ইন্টারেস্টিং। আমি শুনেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। লামিয়াও খুশি মনে রাজি হয়ে যায়।’
বিষয়টি নিয়ে লামিয়া জানান, বছর দশেক আগে এই ছবিটির কথা তিনি তার মা দিতিকে বলেছিলেন। তিনি ছবিটি প্রযোজনা এবং এতে অভিনয় করবেন বলেও কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে দিতির মৃত্যুর কারণে সব থমকে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমি আসলে পুরোপুরি হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কারণ আমাদের ইন্ডাস্ট্রির পরিস্থিতিও খুব বাজে। কিন্তু বাঁধন আপু আমাকে সাহস দিয়েছেন, আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। আমরা দুজন মিলে ছবিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে আমার চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হয়ে গেছে।’
বিজ্ঞাপন
তবে ‘মেয়েদের গল্পে’র অভিনয় শিল্পী কারা থাকছেন এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বাঁধন শুধু জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ছবির প্রযোজকও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই ছবিটির কাজ সেরে ফেলতে চান তারা। নির্মাণ শেষে এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এরপর কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারে।
এদিকে কোরবানি ঈদে প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। বাঁধন ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন পূজা ক্রুজ, মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ প্রমুখ।