‘মা লো মা’ গানটি নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। কোক স্টুডিও বাংলার দেওয়া তথ্য মতে গানটির গীতিকবি খালেক দেওয়ান। তবে এ কথা শুনেই ক্ষুব্ধ নেত্রকোণার সংস্কৃতিকর্মীরা। গানটির গীতিকারের নাম নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। তাদের দাবি এ গান নেত্রকোণার বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা।।
এদিকে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীও গানটি গেয়েছেন বাউল রশিদ উদ্দিনের নামে। তবে সেখানে কিছু শব্দের রদবদল রয়েছে। গানটি রশিদ উদ্দিনের বলে জীবদ্দশায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে মন্তব্যও করেন তিনি। বারী সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘আমি গান শুরু করার ৫০ বছর আগেও নানান বাউলেরা তাদের নামে গানটি পরিবেশন করেছেন। রেকর্ড হয়েছে বহুবার। আমি যখন প্রয়াত শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে যুক্ত হই এবং এটা নিয়ে কাজ করি তখন আমি এই গানটি উদ্ধার করেছি এবং জানতে পেরেছি এটা বাউল রশিদ উদ্দিনের গান।’
বিজ্ঞাপন
তবে বারী সিদ্দিকীর এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন খালেক দেওয়ানের নাতি সংগীতশিল্পী সাগর দেওয়ান। তিনি মনে করছেন বারী সিদ্দিকী গানটির প্রকৃত গীতিকার সম্পর্কে জানতেন না। সেইসঙ্গে মন্তব্য করেছেন শুধু খালেক দেওয়ান না, মিরাশ উদ্দিন বাউলেরও একাধিক গান বাউল রশিদ উদ্দিন বাউলের নামে চালিয়ে দিয়েছেন বারী সিদ্দিকী।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেইলকে সাগর বলেন, ‘বারী ভাইয়ের কণ্ঠে আগে গানটি আমি শুনিনি। যখন কোক স্টুডিও বাংলায় গানটি রেকর্ড করা হচ্ছিল তখন গানটি শুনেছি। বারী ভাইও (সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী) রশিদ উদ্দিনের নামে গানটি গেয়েছেন। কেন গেয়েছেন আমি জানি না। এর আগে পরে বাউল মিরাশ উদ্দিনের অনেক গান বারী ভাই রশিদ উদ্দিনের নামে ঢাকা শহরে ঢুকিয়েছেন। হয়তো গানের ইতিহাস সম্পর্কে জানতেন না। না জেনে করতে পারেন।’
গত ৩ মে কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে ‘মা লো মা’ গানটি। এতে কণ্ঠ দিয়েছেরন প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান ও র্যাপার আলী হাসান। গানটির সংগীতায়োজনে ছিলেন প্রীতম হাসান। প্রকাশের চার দিনে ৪১ লাখের অধিক মানুষ শুনেছে গানটি।