রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীদের হামলার ঘটনায় বহিষ্কার ২, বয়কট ১ 

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০ পিএম

শেয়ার করুন:

সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীদের হামলার ঘটনায় বহিষ্কার ২ বয়কট ১ 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন তথা বিএফডিসিতে রচিত হয় এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের। শিল্পীদের দ্বারা নির্যাতিত হন সাংবাদিকরা। এ ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, অভিনেতা শিবা শানুসহ কয়েকজন। 

এ ঘটনায় শিল্পী সমিতির ২ সদস্যকে ১ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন, শিবা শানু ও সুশান্ত। অন্যদিকে সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কট করেছে বিনোদন সাংবাদিকরা। 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: আহতদের খোঁজ নেয়নি শিল্পী সমিতি, মানববন্ধনে সাংবাদিকরা

ঘটনার রাতেই সুষ্ঠু তদন্তে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৫ জন সাংবাদিক এবং ৫ জন শিল্পীকে রাখা হয় সেখানে। যার উপদেষ্টা করা হয় আরশাদ আদনানকে। তদন্ত কমিটির বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের কথাগুলো জানান সাংবাদিক লিমন আহমেদ। 

এ সময় জয় চৌধুরীকে আজীবন বয়কট প্রসঙ্গে ঢাকা মেইলকে লিমন আহমেদ বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ক্ষমা চাবেন জয় চৌধুরী। কিন্তু তিনি সেখানেও তর্কে জড়ান। উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারও কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমকে লিমন আরও বলেন, ‘তাকে নিয়ে শিল্পী সমিতি যদি কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন তবে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা হবে।


বিজ্ঞাপন


বৈঠকে শিল্পী সমিতি আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

আরও পড়ুন: মদ্যপ ছিলেন সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী শিবা শানু

১০ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না ছিলেন। এছাড়াও সিনিয়র সংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, শপথ গ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতে চান ময়ূরীর মেয়ের। ময়ূরীর মেয়েকে প্রশ্ন করেন আপনি আপনার মায়ের সিনেমা দেখেন কি না। দেখলে কেমন লাগে। ময়ূরীর মেয়েকে এমন প্রশ্ন করাতেই রেগে যান খল অভিনেতা শিবা শানু। তিনি   সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিসে থেকে বের করে নিয়ে যান।  এসময় কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে শিবা শানুকে থামাতে চান। এতেই শুরু হয় হট্টগোল। এ সময় তখনই শিল্পী সমিতির আরেক নেতা চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী গালি দিয়ে ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুরো এফডিসি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। মারামারিতে রক্তাক্ত হন কয়েকজন সাংবাদিক।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর