বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মুক্তিযুদ্ধকে সাংবিধানিক ভিত্তি দিয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মুক্তিযুদ্ধকে সাংবিধানিক ভিত্তি দিয়েছে’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (প্রোক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসের সিনেট হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ নিয়ে বিশেষ শিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

>> আরও পড়ুন: ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু

অনুষ্ঠানে জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘প্রোক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ ঘোষণা করা হয়। এটি ঐতিহাসিক সত্য।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ওই সময় তো বিএনপির জন্ম হয়নি, জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটেনি। এই দলের জন্ম ১৯৭৮ সালে। তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ কোথায়? সুতরাং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে তথ্য যুক্ত করা হয়েছে সেটিকেই বলে ইতিহাসের সঠিক তথ্য-উপাত্ত। বাংলাদেশ কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে, কার নেতৃত্বে সৃষ্টি হয়েছে- তার ইতিহাস জানার জন্য এই একটি তথ্যই যথেষ্ট।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: মাস্টারপ্লান করেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন : তাপস

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, মানচিত্রসম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার আছে। এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়। এর শিক্ষা বিস্তৃতির যে অঙ্গীকার তার মধ্যে রয়েছে প্রিয় স্বদেশ, আলাদা আত্মপরিচয়, শেকড়ের অনুসন্ধান। একই সঙ্গে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এর মধ্যদিয়ে যেমন আমরা আলাদা আত্মপরিচয় নিশ্চিত করতে চাই। সেই সঙ্গে অগ্রসরমান আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের অনেক কিছু না থাকার আছে, কিন্তু যা আছে সেটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অদম্য শক্তি আমাদের আছে। ৩০ লক্ষ শহীদের প্রতি আমাদের প্রবল ঋণবোধ আছে। ইতিহাস শেখা মানে আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত রাখা। ইতিহাস শেখা মানে শুধু অতীত অনুসন্ধান, তা নয়। সঠিকভাবে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে ইতিহাস শেখা অত্যাবশ্যক।

>> আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের স্বাধীনতার গৌরবগাঁথা পৌঁছে দিতে হবে

প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ দিন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন। এছাড়া রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমির।

গত ১০ জানুয়ারি ১৫ দিনেই এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন কলেজের ৭৯ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সমাপনী দিনে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ ও বই বিতরণ করা হয়।

পিএস/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর