হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামি দলগুলোর আপত্তির মুখে পিছু হটেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্টি করা সংগীত শিক্ষক পদ বাতিল করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে নতুন সৃষ্টি করা শরীরচর্চা শিক্ষকের পদটিও।
পদ দুটি বাদ দেওয়ার পাশাপাশি 'সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা -২০২৫'-এ কিছু শব্দগত পরিবর্তন এনে গত আগস্টে জারি করা বিধিমালাটি সংশোধন করে রোববার (২ নভেম্বর) গেজেট জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়। তবে এরপর থেকে ইসলামি দলগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি বাতিলের দাবি জানায়। তারা এর স্থলে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি তোলে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সেমিনারে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক পাঁচটি দলের নেতারা বলেন, লেখাপড়ার মানের অবনতি ঘটায় শিক্ষার্থীদের মানসিক ও আদর্শিক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। সরকার সেদিকে লক্ষ না করে গানের শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে। সংগীত শিক্ষকের জায়গায় সরকারকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। তা না হলে দেশের ইসলামপ্রেমী জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।
বিজ্ঞাপন
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতমূলক করার দাবিতে সর্বদলীয় ইসলামী শিক্ষা রক্ষা জাতীয় কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে সঙ্গীত শিক্ষকের জায়গায় সরকারকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এর ব্যতিক্রম হলে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। হেফাজতে ইসলামও সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়। এসব দারি পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে এই ইস্যুতে সরকার পিছু হটল।
জেবি

