শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এনসিটিবির কাজে ছাপাখানায় সিসি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক

মো. আব্দুস সবুর (লোটাস)
প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

NCTB
এনসিটিবি। ফাইল ছবি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কাজ যে ছাপাখানাগুলো করবে. সেখানে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা নিজ কার্যালয়ে বসেই ২৪ ঘণ্টা সেখানকার কাজ মনিটরিং করতে পারেন।  

বিগত বছরগুলোতে বইয়ের মানসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। ফলে এবার কঠোর অবস্থানে এনসিটিবি। ইতোমধ্যে কয়েকটি পর্যায়ের বই ছাপানোর কাজের টেন্ডার হয়েছে। তবে কাজ পেতে নতুন কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। ছাপাখানায় সিটি ক্যামেরা বসানো তারই একটি। 


বিজ্ঞাপন


এই সিসিটিভির নিয়ন্ত্রণ থাকবে এনসিটিবির। যেকোনো ধরনের জালিয়াতির চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা।

তারা জানান, এবার বই ছাপানোর আগে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাপাখানায় সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক, বাস্টিং ফ্যাক্টর বৃদ্ধি ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। এসব কিছু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ইতিবাচক হবে বলেও জানান তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালেই ২৬৯ কোটি টাকার অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ২৫৫ কোটি টাকা লোপাটের পরিসংখ্যান আছে। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক তদারকির বিষয় নিয়ে। 


বিজ্ঞাপন


এছাড়া গত বছর নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপিয়ে সরবরাহ করা ৪৬টি ছাপাখানা চিহ্নিত করা হয়েছে। এমন অবস্থায় আগামী বছর সময়মতো পাঠ্যবই ছাপানো ও কাগজের মান ঠিক রাখতে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত এনসিটিবির।

আরও জানা যায়, কাগজের মান আরও উন্নত করতে ৮২ জিএসএম (গ্রাম পার স্কয়ার মিটার) থেকে ৮৫ জিএসএম করা হয়েছে। এতে কাগজ হবে আরও ঘন, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী। বাস্টিং ফ্যাক্টর ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২০ করা হয়েছে। ফলে কাগজ আরও শক্ত হয়েছে এবং সহজে ছেঁড়ার সমস্যা থাকবে না। এছাড়া উজ্জ্বলতার জন্য ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক পাল্প ব্যবহার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘পাঠবইয়ের মান ঠিক রাখতে ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রতিটি প্রেসের কাজ করার বিষয়গুলো আমরা সূক্ষ্মভাবে নজরদারি করতে পারব।’ 

খরচের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দরপত্রের শর্ত হিসেবে থাকছে। কোনো প্রেসে ক্যামেরা না থাকলে তারা কাজ পাবে না। ফলে ক্যামেরা লাগানোর খরচ প্রেসকেই বহন করতে হবে।’  

এএসএল/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর