মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে জগন্নাথের ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, জবি
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শান্তা আক্তার।


বিজ্ঞাপন


গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) থানায় দায়ের করা অভিযোগে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, চান বাদশা আমার পৈতৃক সম্পত্তি দখলের জন্য আমার পরিবারের সদস্যদের শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করে আসছিলেন। এর জের ধরে গত ২১ মার্চ তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট করতে থাকেন। এ সময় আমি আমার বাবাকে বাঁচাতে গেলে চান বাদশা আমাকে চড় থাপ্পড় এবং কোমরে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। আমি এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, চান বাদশা আমাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষিসহ বাঁশ দিয়ে মারপিট করেন। এতে আমি গুরুতর আহত হই। আমাদের বাঁচাতে আমার চাচা রমজান (৫০) এগিয়ে এলে চান বাদশা সুযোগ পেলে আমাদের ক্ষতি সাধনের হুমকি দেন। 

ভুক্তভোগী ছাত্রী শান্তা আক্তার বলেন, থানায় অভিযোগ করার পরও চান বাদশা আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। রাতে আমাদের বসতবাড়িতে ঢিল ছুড়ে আমাদের নানাভাবে বিরক্ত করছেন। আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছি।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত চান বাদশা বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কাউকে হুমকি-ধমকি দিইনি। 


বিজ্ঞাপন


সরেজমিনে পরিদর্শনের পর এলাকাবাসী থেকে জানা যায়, চান বাদশা প্রায়ই মাদক গ্রহণ করে থাকেন। একই কারণে নিজের স্ত্রী-বাচ্চাকে পিটিয়ে ঘর ছাড়া করেছেন। এছাড়া তিনি তার বৃদ্ধ মা-ভাইদের ওপর প্রায়ই হাত তোলেন। পেশায় শ্রমিক হলেও চান বাদশার অত্যাচার নিয়মিত দেখে আসছেন গ্রামবাসী। তবে তার অত্যাচারী কার্যক্রমে কেউ বাধা দিতে চাইলে তিনি ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে বসেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, চান বাদশা একটু বেপরোয়া টাইপের মানুষ। তাকে নিয়ে মানুষের নানা অভিযোগ রয়েছে। আমরা বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডাকলে সে সাড়া দেয়নি। কিন্তু নিয়মিতই নানা অপকর্মের অভিযোগ শুনছি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি এমন একটা অভিযোগ পেয়েছি। সম্পত্তিসংক্রান্ত বিষয়ে শান্তা নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তদন্তসাপেক্ষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর