নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের উদ্দেশে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করবেন তারা।
এর আগে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষা উপদেষ্টার সাক্ষাতের উদ্দেশে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। এসময় হাজারো শিক্ষক এমপিওভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষকরা বলছেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার বিগত ২০২১ সালে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টির মাধ্যমে হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও বঞ্চিত করেছে। অথচ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ২০-২৫ বছর ধরে এমপিওবিহীন থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারীরা নিরলসভাবে পাঠদান কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন এবং জাতীয় শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
তারা বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের এবং শেখ পরিবারের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান ছিলো সেগুলো এমপিওভুক্ত করেছেন।
শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি করার দাবি জানিয়ে তারা বলছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই অবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে। এ দাবি পূরণ না হলে রাজপথ ছাড়বেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা।
একই দাবিতে গত রোববার দুপুরে অবস্থানরত সব নন-এমপিও শিক্ষকদের নিয়ে খালি থালা হাতে নিয়ে ভুখা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট কদম ফুয়ারা হয়ে পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
সেদিন তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এগুলো হলো- সোমবার সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা, মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের উদ্দেশে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা এবং আগামী বুধবার মুখে লাল কাপড় বেঁধে রাজপথে মিছিল।
টিএই/ইএ