স্বীকৃতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্তির দাবিতে হাতে থালা নিয়ে ‘ভুখা’ মিছিল করেছে শিক্ষকরা। রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এ মিছিল বের করেন তারা। পরে মিছিলটি পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচিতে মিলিত হয়।
এদিন ১৫তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সদস্যরা। মিছিলে শিক্ষকরা ‘দাবি মোদের একটাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও চাই’, ‘এক দেশে দুই নীতি, মানি না মানব না’, ‘এমপিও ছাড়া, ঘর ফিরব না’, ‘ভাত দে, না হলে বিষ দে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন ।
বিজ্ঞাপন
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, তারা গত দুই সপ্তাহ ধরে একটা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কোনে ইতিবাচক সাড়া আসছে না। রোজার মধ্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সবার অবস্থা বিবেচনা করে আমাদের একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানানো উচিত।
জয়পুরহাট থেকে এসেছেন শিক্ষক আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আমরা স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময়েও এমপিওভুক্ত হয়নি। এটির ফলে আমরা পরিবার নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছি। এমন অবস্থা পরিবার নিয়ে চলার মতো নয়। তাই দ্রুত আমরা নিজেদের ন্যায্য অধিকার চাই।
বরিশাল থেকে এসে গত ৫ দিন ধরে আন্দোলন করছে শিক্ষক শফিকুর ইসলাম। তিনি বলেন, এক যুগের বেশি সময় একটা প্রতিষ্ঠানে পার করেছি। সুদিন আসবে আসবে করে আর অন্য কাজে যাওয়া হয়নি। কিন্তু এখন এমন দুর্দিন আসছে যে, নিজেদের পরিবার নিয়ে চলার মতো অবস্থায় নেই। ফলে আমাদের সবার পরিবারের দিকে চেয়ে হলেও প্রতিষ্ঠানের এমপিও চাই।
বিজ্ঞাপন
নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের মহাসচিব ও নওগাঁ শফিউদ্দিন মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ মনিমুল হক বলেন, নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে আমাদের একটায় দাবি সব প্রতিষ্ঠান এমপিও করা। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর ভৌত কাঠামোসহ সবকিছু যাচাই করে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি যে বেতন-ভাতার সুবিধা সেটা দেওয়া হচ্ছে না। এটা আমাদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। আমরা নিজেদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
অবস্থান কর্মসূচিতে দুই শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তারা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এএসএল/এমএইচটি