শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাবিতেই নেই বিপ্লব নিয়ে কোনো উদ্যোগ!

রুদ্র আসাদ, ঢাবি
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাবিতেই নেই বিপ্লব নিয়ে কোনো উদ্যোগ!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয় কোটা আন্দোলন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের দেশ ছেড়ে পালানোর নজির সৃষ্টিকারী ৩৬ দিনের জুলাই বিপ্লবের মূল সূতিকাগার ধরা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। কিন্তু বিপ্লবের সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লব নিয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ বা আয়োজন নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

গত আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ডক্টর নিয়াজ আহমেদ খান। অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে প্রক্টর, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার এবং দুজন উপ-উপাচার্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিপ্লবোত্তর নতুন নির্দলীয় প্রশাসনের প্রতি অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল শিক্ষার্থীদের। কিন্তু সাড়ে তিন মাসেও জুলাই বিপ্লবসংক্রান্ত কোনো আয়োজন করতে পারেনি ঢাবি প্রশাসন।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সায়মা হক বিদিশা ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘বিপ্লব নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুটি পরিকল্পনা আছে। একটা হচ্ছে জুলাই বিপ্লব কর্নার, আরেকটা অ্যাকাডেমিক আলাপ বিষয়ক।’

আরও পড়ুন

ঢাবিতে শিবিরের দেয়ালচিত্রে ১৬ বছরের গুম-খুনের দলিল

উপ-উপাচার্য বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব কর্নার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটা স্থানে গণভবনের যে জাদুঘরটা আছে, সেটার আদলে কোনো একটা কর্নার সৃষ্টি করা। এটার জন্য কমিটি গঠিত হয়েছে। এর প্রধান করা হয়েছে চারুকলা অনুষের আজহারুল ইসলাম শেখকে। এগুলো এখনো খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এখানে ছবি, ভাস্কর্যসহ অন্য কিছুও রাখা হবে কি না এই বিষয়টা দেখা হচ্ছে।’

DU2


বিজ্ঞাপন


সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘অন্যদিকে একাডেমিক ডিসকাশন হতে পারে প্যানেল ডিসকাশন সভা, সেমিনার কিংবা বিদেশ থেকে কোনো অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে জুলাই বিপ্লবের ওপর তাত্ত্বিক আলোচনার মাধ্যমে। তবে এই দুটির বাইরেও আরও কিছু করার চিন্তা-ভাবনা আছে। সেগুলো একে একে আলোচনা করে আগানো হবে। তবে অন্তত এই দুটি ইনিশিয়েটিভ সবার চিন্তায় এখনো পর্যন্ত আছে।’

আরও পড়ুন

পাল্টে গেছে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির চিত্র!

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরবর্তী সময়ে এটি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘রাজাকারের বাচ্চা’সংক্রান্ত বক্তব্যের পর গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনেই এক পর্যায়ে বিদায় হয় ফ্যাসিস্ট সরকারের। এই আন্দোলনের পুরোটাজুড়ে মূল নেতৃত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই দিয়েছেন।

আরএ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর