চলমান ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী চলা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের পতাকার সাথে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি বিশালাকার ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে প্রতিবাদ ও সংহতি জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞাপন
মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ প্রথমে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে প্রদক্ষিণ করে। এসময় ফ্রী ফ্রী প্যালেস্টাইন, ওয়ান টু থ্রি ফোর অকুপেশন নো মোর বলে স্লোগানে ঝড় তোলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা৷ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সকলে সমবেত হন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে।
সমাবেশে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, যারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার বিপক্ষে ভেটো দিয়েছে তাদের ঘর থেকেই আজ শতগুণ শক্তিশালী আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। যারা গণতন্ত্রের মোড়ল, যারা গণতন্ত্রের সার্টিফিকেট দেয় তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত। স্রেফ আন্দোলন করার কারণে সাসপেন্ড করা হচ্ছে, পাঁজরের হাড় ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তারা ওয়ার ক্রিমিনাল। আমরা অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন চাই।
সমাবেশে বক্তৃতাকালে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বিশ্ব আজ দুই শিবিরে বিভক্ত। একটি শিবির শোষিতের, আরেকটি শাসকের। কলম্বিয়ার সেই ঢেউ আজ আছড়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে। এই ঢেউয়ে ভেসে যাবে সকল জায়নবাদী অপচেষ্টা অপশাসন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ফিলিস্তিন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। এই সংগ্রাম সত্যের পক্ষে, শোষিতের পক্ষে। উই আর হেয়ার ফর বেসিক রাইট অব প্যালেস্টেনিয়ান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আজ এখন বক্তৃতাকালে জানি না কত শিশু-নারী নিহত হচ্ছে। আমরা ইহজীবনে দেখিনি যুদ্ধনীতিতে হাসপাতাল-স্কুলে বম্বিং করতে। অনেক হয়েছে আর না। আমাদের সংগ্রাম শুধু বাংলাদেশের জন্য না, সারা বিশ্বের নির্যাতিত সকলের জন্য।
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের নেতা আব্দুল্লাহ বাদাউয়ি, ইসহাক আহমেদ, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সজল কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক রাজীবুল বাপ্পী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি।
এমএইচএম