মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৩, ০৯:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: সিপিডি

নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সংগঠনটি বলছে, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) একটি কার্বনভিত্তিক জ্বালানি। এর ওপর নির্ভরতা ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি ঝুঁকিতে ফেলবে।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (১০ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির নেতৃবৃন্দ।

সিপিডি আয়োজিত আসন্ন ‘জি৭ (গ্রুপ অব সেভেন) সামিট ইন ২০২৩’ সম্মেলন উপলক্ষে উন্নয়নশীল দেশের কার্বন নিঃসরণে নেতিবাচক ভূমিকা নিয়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এলএনজিসহ সবধরনের জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ কমাতে হবে। একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অর্থের ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ব্যবহারের সুপারিশও করেছে সিপিডি।

>> আরও পড়ুন: শিগগিরই ‘হংকং কনভেনশন’ অনুমোদন করবে বাংলাদেশ: শিল্পমন্ত্রী


বিজ্ঞাপন


এ দিন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এ সময় তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমাতে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিমতো অর্থছাড় করছে না। এজন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করা হচ্ছে।

সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক জানান, ২০১৬-২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এই অর্থায়ন ব্যবস্থায় উন্নত না হলে, ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্পাদনের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।

এ সময় বাংলাদেশে ডিজেলভিত্তিক সেচ ব্যবস্থা থেকে সোলারে রূপান্তরে জি-৭ ভুক্ত দেশের আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘জি৭ দেশগুলো এই মুহূর্তে চাচ্ছে নতুন নতুন ধরনের প্রযুক্তিগত ব্যবহার করে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেনের মতো প্রযুক্তি। যদিও এখানে ঐক্যবদ্ধ প্রতিষ্ঠিত হয়নি, কিন্তু এখানে তাদের একটি অবস্থান রয়েছে। যেসব দেশগুলো এখনো আর্থিকভাবে সক্ষম না, তাদের জন্য এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যয়বহুল হবে। তাই এসব নিরুৎসাহিত করা দরকার।’

এ সময় পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘জমি স্বল্পতার কারণে সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রসার হচ্ছে না। বিভিন্ন জমিতে সোলার প্যানেল বসাতে গেলে অনেক ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে, সেটাতেও ভিন্ন মত রয়েছে সাধারণ মানুষের। এসব বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগে উন্নত দেশের সহযোগিতা দরকার।’

>> আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এফবিসিসিআই

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্রেডার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ আমিনুর রহমান জানান, ‘জি৭ দেশগুলো যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো থেকে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি, তাদের কাছ থেকে আমাদের নতুন নতুন প্রযুক্তির সহায়তাসহ আর্থায়নের বিষয়গুলো কীভাবে আনা যাবে- সেগুলো সামিটে তুলে ধরা হবে।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জার্মান দূতাবাসের সহযোগিতা শাখার প্রধান ফ্লোরিয়ান হোলেন, জাপান দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান তাতসুয়া মাচিদা ও ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট কনেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাপানের হিরোশিমাতে আগামী ১৯-২১ মে ৪৯তম ‘জি-৭ সামিট’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই সামিটের বিষয়ে বুধবার এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে- জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর