শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

নতুন বছরে আশা দেখাচ্ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

এইচ রহমান
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৩ এএম

শেয়ার করুন:

নতুন বছরে আশা দেখাচ্ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ায় অনেকটা সংকটে পড়ে দেশের অর্থনীতি। প্রকট আকার ধারণ করে ডলার সংকট। এর মধ্যে টানা কয়েক মাস প্রবাসী আয় নিম্নমুখী থাকায় সেই সংকট আরও ঘনীভূত হয়। তবে আশার কথা হলো, নতুন বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ আশা দেখাচ্ছে। গত ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় কিছুটা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৩ দিনে ৯২ কো‌টি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনেই গত মাসের অর্ধেকের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৩ দিনে প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। অর্থাৎ এই সময়ে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭৭ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১২ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার, বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩১ লাখ মার্কিন ডলার।

আরও পড়ুন: রেমিট্যান্সে ভাটা কতটা উদ্বেগের?

তথ্য বলছে, সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এই পরিমাণ ২০২১ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে প্রায় সাত কোটি ডলার বেশি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।

বিদায়ী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: রিজার্ভ নামল ৩৪ বিলিয়নের নিচে

এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) ছয় মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৪৯ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ২৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২৫ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার বেশি এসেছে।

সরকার অবৈধ হুন্ডির ব্যবসা বন্ধে তৎপর রয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো উৎসাহিত করছে। গত ডিসেম্বরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে ইনসেন্টিভ সুবিধাসহ তাদের কর্মস্থলের কাছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মানি এক্সচেঞ্জ স্থাপন করার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে।

আরও পড়ুন: জানুয়ারি থেকে ডলার সংকট কেটে যাবে: গভর্নর

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হুন্ডি বন্ধের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, অর্থপাচার ও কালো টাকা না কমলে বৈধ পথে রেমিট্যান্সও বাড়বে না। বাংলাদেশে আইন আছে কিন্তু এর প্রয়োগ নেই। ব্যাংকে ডলারের দাম একরকম আবার খোলা বাজারে আরেক রকম। এই পার্থক্য কমিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।

এইচআর/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর