সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কারখানা স্থানান্তর ও কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ করেছে ওলিও এ্যাপারেলস্

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

কারখানা স্থানান্তর ও কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ করেছে ওলিও এ্যাপারেলস্

নিরাপত্তা জটিলতায় রাজধানীর উত্তর কমলাপুর থেকে উত্তরার আজমপুর এলাকায় কারখানা স্থানান্তর করেছে এনভয় গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ওলিও এ্যাপারেলস্ লিমিটেড। সেই সঙ্গে কারখানার সকল কর্মীদের বকেয়া বেতনও পরিশোধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি।

সোমবার (৭ নভেম্বর) এনভয় গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এ কে এম সিদ্দিকুর রহমান ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, বিজিএমইএ কমপ্লেক্স থেকে রোববার সকল মজুরি ও ওভার টাইমসহ শ্রম আইন মোতাবেক কর্মীদের সব বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: গ্যাস সংকটে ‘টালমাটাল’ শিল্প খাত

এনভয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে কারখানা উত্তর কমলাপুর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে উত্তরা আজমপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সকল পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে। তবে স্থানান্তরিত ঠিকানায় যদি কোনো শ্রমিক পুনরায় চাকরি করতে ইচ্ছুক হয় তাহলে তারা নতুনভাবে চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন। এছাড়া কোনো শ্রমিকের নামে মামলা, পুলিশি হয়রানি ও ইন্টারনেটে কোনো ছবি দেওয়া হবে না বলেও কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ১ নভেম্বর বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে এনভয় গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ওলিও এ্যাপারেলস্ লিমিটেডের কর্মীরা। এরপর রোববার (৬ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানিয়েছে, এনভয় গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ওলিও এ্যাপারেলস্ লিমিটেড শ্রমিকদের অক্টোবরের বেতন পরিশোধ করেছে।

>> আরও পড়ুন: খরচ ছাড়াই রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা


বিজ্ঞাপন


ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এনভয় গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ওলিও এ্যাপারেলস্ লিমিটেড, কেআরসি ভবন, ১/১ উত্তর কমলাপুর, ঢাকা-১০০০ এ ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে একটি ভাড়া চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে এই ভবনে শতভাগ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছরের পথচলায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইন, বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠন আরএসসি (আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল) কর্তৃক নির্ধারিত মানের বৈদ্যুতিক, অগ্নি ও ভবনের কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আরএসসি (আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল) এর পর্যালোচনায় অগ্নি নিরাপত্তার জন্য ভূগর্ভস্থ জলাধারের অপর্যাপ্ততা ও ভবনের কিছু অংশের কাঠামোগত দুর্বলতা/ত্রুটি চিহ্নিত করেন। যা নিরসনে আবারও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

>> আরও পড়ুন: ‘জ্বালানি সংকটে ক্রেতা হারালে আর পাওয়া যাবে না’

বর্তমানে এই ভবনটিতে নতুন করে ভূগর্ভস্থ জলাধার নির্মাণ ও কারখানা ভবনটির কাঠামোগত ত্রুটি মেরামতের কাজ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উপরন্তু এ ব্যাপারে ভবন মালিকের সুস্পষ্ট আপত্তি/অসম্মতি থাকায় আরএসসি (আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল) এর চাহিদা মাফিক কমপ্লায়েন্স উপযোগী করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে, এই ভবনে উৎপাদন পরিচালনার ক্ষেত্রে অবধারিত ভাবেই বিদেশি ক্রেতারা তাদের চলমান ও ভবিষ্যৎ সকল ক্রয়াদেশ ১ নভেম্বর তারিখ হতে স্থগিত/বাতিল করেছেন এবং আরএসসি (আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল) উৎপাদন পরিচালনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিধায়, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পক্ষে এই ভবনে কারখানাটি আর পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না, যা প্রচলিত শ্রম আইনের ২৮(ক) ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত।

এমতাবস্থায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা-২৮(ক) এবং তদীয় শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি-৩২(খ)(অ)(১) অনুযায়ী বর্তমান স্থাপনা থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরত্বে সিমকো কমপ্লেক্স, ৪৩, চালাবন, শাহ কবির মাজার রোড, আজমপুর, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ ঠিকানায় চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর