দেশের টেক্সটাইল খাত রুগ্ন অবস্থায় আছে। এই খাতকে বাঁচাতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত চেয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ)।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিটিএমএ আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল এ দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
স্পিনিং সেক্টরে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান নানা সমস্যা এবং তা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ ও এ সংক্রান্ত বিটিএমএর দাবি তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিটিএমএর সাবেক সভাপতি এ. মতিন চৌধুরী, সাবেক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রাজীব হায়দার প্রমুখ।
শওকত আজিজ রাসেল জানান, নানা সংকটে দেশের ৫০টি টেক্সটাইল মিল বন্ধ হয়ে গেছে। নিজের একটি কটন মিল বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে নিজে টেক্সটাইলবিহীন সভাপতি হয়ে যেতে পারেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এই খাতকে বাঁচাতে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত চেয়েছেন বিটিএমএ সভাপতি।
অনুষ্ঠানে বিটিএমএ সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, এই মুহূর্তে এই সেক্টরটাকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচানোর সময়। সেক্টরটাকে বাঁচাতে হলে আপনাকে (সরকার) বিশাল বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের এই খাতটিকে আইসিইউ থেকে বের করার জন্য সরকারকে অচিরেই বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।
মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘এই সেক্টরটি বাঁচাতে হলে প্রথম হলো বাংলাদেশ ব্যাংককে টেক্সটাইলের জন্য আলাদা উইন্ডো করতে হবে। সুদ হার কমিয়ে আনতে হবে। গত বাজেটে আমরা দেখতে পারলাম টেক্সটাইল সেক্টর সারা বছর সাড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়েছে। কিন্তু চলতি বাজেটে আমাদের ট্যাক্স হয়ে গেছে ২৭ শতাংশ। এটি মরার ওপর খাড়ার ঘা।’
খোকন বলেন, ‘এখন যে সুতা বিক্রি হয় সে টাকা দিয়ে শ্রমিক ও গ্যাসের বিলের টাকা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে মালিকরা মিল বন্ধ করে দিচ্ছেন। এই সেক্টরকে বাঁচাতে হলে ব্যাংক সুদের হার ও জ্বালানির দাম কমাতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে।’
বিজ্ঞাপন
এই ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, ‘টেক্সটাইল সেক্টর বাঁচানোর জন্য তথা বিটিএমএ সদস্যকে যদি আমরা বাঁচাতে না পারি— একদিন গার্মেন্টস শিল্পের তুলা, সুতা ও কাপড় রপ্তানি বন্ধ করে দেবে ভারত, সেদিন পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারকে অচিরেই পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী দিনে রাজনৈতিক সরকার আসবে। আমরা বিশ্বাস করি ও প্রত্যাশা রাখি, আগামী দিনে যারা নেতৃত্বে আসবেন তারা এই খাতটিতে বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।’
এমআর/ক.ম

