দেশের অধিকাংশ বাজারে সরবরাহ কমার কারণ দেখিয়ে পেঁয়াজের মূল্য কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাত্র তিন দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, যা এখন বেড়ে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নতুন পাওয়া মুড়িকাটা পেঁয়াজও ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাদের মতে, দেশীয় পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তবে বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর এ সময় মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে তৎপর হয়ে ওঠে। গত মৌসুমে কৃষকরা ন্যায্য দাম না পেয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন, বর্তমানে যা অসাধু মজুতদারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মজুতদাররা সিন্ডিকেট গঠন করে পেঁয়াজ বাজারে আটকে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে এবং দাম বাড়াচ্ছে। এ ছাড়াও, তারা দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ভারত থেকে আমদানি বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
সরেজমিনে বাজার পরিদর্শনে দেখা গেছে, তিন দিন আগেও পেঁয়াজ প্রতি মণ (প্রায় ৪০ কেজি) ৩,২০০-৩,৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪,২০০-৪,৩০০ টাকায়, অর্থাৎ প্রতি মণে দাম বেড়েছে প্রায় ১,০০০ টাকা।
নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসলেও সরবরাহ সীমিত থাকায় এর দামও বেশি। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ধারণা, আমদানি বৃদ্ধি পেলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এম/এফএ

