অনলাইনে আয়কর রিটার্ন বা ই-রিটার্ন দিতে করদাতাকে কোনো কাগজপত্র আপলোড বা জমা দিতে হয় না। শুধু প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। যেমন, চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাবের এক বছরের লেনদেন বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দিলেই চলবে। অর্থবছর অনুযায়ী (আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত) ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য, ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য দিতে হবে।
কর দেবেন যেভাবে:
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য রাজস্ব বোর্ডের কল সেন্টার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা পাওয়া যাবে।
যেসব দলিলের তথ্য প্রয়োজন:
রিটার্ন জমার সময় কিছু কাগজপত্রের তথ্য প্রয়োজন হয়। এসব তথ্য সরকারি ও বেসরকারি অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে- বেতন খাতের আয়ের দলিল, সিকিউরিটিজের ওপর সুদ আয়ের সনদ, ভাড়ার চুক্তিপত্র, পৌরকরের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, মূলধনি সম্পদের বিক্রয় কিংবা ক্রয়মূল্যের চুক্তিপত্র ও রসিদ, মূলধনি ব্যয়ের আনুষঙ্গিক প্রমাণপত্র, শেয়ারের লভ্যাংশ পাওয়ার ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, সুদের ওপর উৎসে কর কাটার সার্টিফিকেট।
তবে বিনিয়োগ করে কর রেয়াত পেতে চাইলে কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র লাগবে। যেমন- জীবনবিমার কিস্তির প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিলে দেয়া চাঁদার সনদ, ঋণ বা ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, শেয়ারে বিনিয়োগের প্রমাণপত্র, ডিপোজিট পেনশন স্কিমে (ডিপিএস) চাঁদার সনদ, কল্যাণ তহবিলের চাঁদা ও গোষ্ঠী বিমার কিস্তির সনদ, জাকাত তহবিলে দেয়া চাঁদার সনদ।
এমআর/এএস

