সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ব্রয়লারে স্বস্তি, এক বছরে সর্বনিম্ন ডিমের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৫, ০৫:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

bazar
ব্রয়লার মুরগি ও ডিমে মিলছে স্বস্তি। ছবি: সংগৃহীত

বাজারে চালের দাম কিছুটা বাড়তি থাকলেও স্বস্তি দিচ্ছে তরিতরকারি, মুরগি ও ডিমে। কোরবানির ঈদের তিন সপ্তাহ পার হলেও এখনো গরু কিংবা খাসির মাংসের দোকানগুলোতে কেনাবেচা নেই বললেই চলে। তবে হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় মুরগি ও ডিমের বেচাকেনা বেড়েছে।

ক্রেতারা জানান, এবার সবজির দামের পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে ফার্মের মুরগি ও ডিমে। কিছুদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


এছাড়া ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। গত এক বছরেও ডিমের দাম এত নিচে নামেনি।

সব মিলিয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা মাংসের পরিবর্তে মুরগি ও ডিমের দিকেই ঝুঁকছেন বেশি। এগুলো থেকে তারা তাদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারছেন।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া , চিটাগং রোড ও আশেপাশের বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন

৪০–৬০ টাকায় মিলছে বেশিরভাগ সবজি, স্বস্তিতে ক্রেতারা

সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, যা ঈদের আগেও ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজিতে। লাল লেয়ার (ডিম পাড়া মুরগি) ২৪০ টাকা ও সাদা লেয়ার (ডিম পাড়া মুরগি) ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি মুরগি ও হাঁসের দাম এখনো চড়া।

Egg2

এদিকে ডিমের দামেও ঈদের পর কয়েক দফা কমে এখন ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় আর খুচরা পর্যায়ে এসব ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২০ টাকায়, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগেও এটি ছিল ১৩৫–১৪০ টাকা।

শনির আখড়া মুরগির ব্যবসায়ী ঢাকা মেইলকে বলেন, কোরবানির পর মাছ মাংসের চাহিদ কমে যায়৷ তখন মুরগি ও ডিমের দামও কমে যায়। এর পরে গত কয়েক সপ্তাহে দাম ৫ থেকে ৭ টাকা ওঠানামা করেছে। তিনি জানান, এই মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়লেও লাভ কম।

আরও পড়ুন

আমে ভরপুর বাজার, দাম কিছুটা বাড়লেও লোকসানের শঙ্কা

এদিকে পোল্ট্রি মুরগি ও ডিমের দাম কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা- এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (বিপিআইএ)। সংগঠনটির সভাপতি সম্প্রতি বলেন, পোল্ট্রি শিল্প সরল সমীকরণে চলে না। প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক নানা চ্যালেঞ্জের মুখেও খামারিরা প্রতিনিয়ত দেশের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে প্রোটিন সরবরাহ নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। তাই জাতীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে বাজেটে পোল্ট্রি শিল্পের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া আবশ্যক।

এমআর/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর