বর্ষা মৌসুমে ভরপুর সবজির বাজার। দরদামও নিয়ন্ত্রণে। মাছ-মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বাজারে। এদিকে চালের বাজারে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও ব্রয়লার মুরগী ও ডিমে একটু বেশি স্বস্তি পাচ্ছে ক্রেতারা।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সাইনবোর্ড, চিটাগং রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
বিক্রেতা বলেন, এখন বাজারে পর্যন্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। ক্রেতারা বেশি বেশি সবজি নিচ্ছেন। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবজির দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই আছে। অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার কম দামেই সবজি মিলছে।
সুমন হাওলাদার বলেন, ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যেই বেশির ভাগ সবজি পাওয়া যায়। তবে সপ্তাহের আগে-পরে দাম ৫-১০ টাকা বাড়ে কমে।

যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী সুমনা বেগম ঢাকা মেইলকে বলেন, সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। মাছের দামও আগের মতোই চাচ্ছে। সব ধরনের মুরগী ও ডিমের দাম কমেছে। এই দাম যদি থাকে, তাহলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে থাকবে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা, কাঁচা মরিচ, করলা, ঝিঙে, পুঁইশাক, কচু, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন বর্ষার সবজি এখন বাজারে সহজলভ্য এবং তুলনামূলক সস্তা।
বিজ্ঞাপন
আজকে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা ৩৫টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বর্ষা মৌসুমের সবজি ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ২০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বর্তমান বাজারদর:
দেশি মাছের মধ্যে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১,১০০ টাকা, ৭০০–৮০০ গ্রাম ১,৭০০ টাকা, এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ২,০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । চাষের চিংড়ি ৭৫০–৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১,০০০–১,২০০ টাকা কেজি । শিং, টেংরা, শোল, পুঁটি: এই মাছগুলোর দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা প্রতি কেজি ৩২০–৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০–২৪০ টাকা, পাঙাশ: প্রতি কেজি ২০০–২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাঝে মাঝে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। নিয়ন্ত্রণে থাকে না বাজার। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে পারলে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পাশাপাশি চাঁদাবাজি দূর করতে পারলে জিনিসপত্রের দাম আরও কমে আসবে।
এমআর/এএস

