শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

‘গভর্নর ব্যাংককে সবল-দুর্বল বললে এই খাত কখনও ঘুরে দাঁড়াবে না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

‘গভর্নর ব্যাংককে সবল-দুর্বল বললে এই খাত কখনও ঘুরে দাঁড়াবে না’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কোনো ব্যাংককে সবল বা দুর্বল বললে এই খাত কখনও ঘুরে দাঁড়াবে না বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, ব্যাংক বন্ধ করা কোনো সমাধান নয় বরং বাঁচিয়ে রাখা দরকার। একদিনে ব্যাংক ঠিক করা সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অর্থনীতির পুনর্বিন্যাস বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ’ শীর্ষক দুই দিনের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘ম্যাক্রো-ইকোনমিক পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর’ সেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, বর্তমান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অনেক গুনী। কিন্তু তিনি নিজে যদি বলেন, ভালো ব্যাংক, খারাপ ব্যাংক, সবল ব্যাংক, দুর্বল ব্যাংক, দুটি ব্যাংক ঘুরে দাঁড়িয়েছে- এসব কথা বলা বন্ধ না করলে কোনোদিন ব্যাংক খাত ভালো হবে না। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশি কথা বলে।

সাবেক এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, টাস্কফোসে অর্থনীতিকে রাজনীতি থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। মনে হয়েছে, দেশে কোনো রাজনৈতিক অবস্থা নেই। সবাই বাণিজ্যিক ব্যাংককে দুষছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের অবদান টাস্কফোর্সে অস্বীকার করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো শর্টটার্ম সঞ্চয়ের বিপরীতে লং টার্ম লোন দিচ্ছে। টাস্কফোর্সের রিপোর্টে এসব লেখা হয়নি। এসব কথা কাকে বলবেন, যাদের বলবেন তারা লুণ্ঠনে ব্যস্ত। টাস্কফোর্স বই দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ সংস্কার দরকার রাজনীতিতে।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কার না হলে কোনো সমাধান হবে না। প্রতি বছর ১৮ লাখ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে? মূল্যস্ফীতি কমানোর একটাই হাতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে, সুদহার বাড়িয়ে বাজারে টাকার প্রবাহ কমানো। যে দেশে সব আমদানিকৃত, সেখানে সুদ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো কি সম্ভব? তারা বলছে মূল্যস্ফীতি কমেছে, ১ শতাংশ কমেছে। আগামী মাসে দেখেন কী হয়।

এর আগে একই সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক খাতের অবস্থা কমবেশি আমরা সবাই জানি। আমরা চেষ্টা করছি। তবে কিছু কিছু ব্যাংক বাঁচানো সম্ভব হবে না। সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ কয়েকটা ব্যাংকের এনপিএল (খেলাপি ঋণ) ৮৭ শতাংশ হয়ে গেছে। অর্থাৎ ৮৭ ভাগ লোনেই একটা গ্রুপের হাতে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ব্যাংক আমাদের সরাসরি সুপারভিশনে আছে। কোন ব্যাংককে আমরা কীভাবে রেজ্যুলেশনের দিকে নিয়ে যাব তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন পরপর আমরা বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি। আমরা খুব শিগগিরই একটা সিদ্ধান্তে আসব।


বিজ্ঞাপন


সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ। 

টিএই/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর