যে সকল পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে, এর মধ্যে নিত্যপণ্য না থাকায় মূল্যস্ফীতিতে এর প্রভাব পড়বে না।
শনিবার (০৪ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়েছে, মূল্য সংযোজন করের পাশাপাশি আয়করের ক্ষেত্রেও করের আওতা বৃদ্ধির নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আয়কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার ধারাবাহিকতায় আয়কর অব্যাহতির বিধান বাতিল ও সংশোধনের কার্যক্রম ও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যে সকল পন্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নেই বিধায় সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না এবং মূল্যস্ফিতিতে প্রভাব পড়বে না।
সম্প্রতি আকাশপথে ভ্রমণ, সিগারেট, এলপিজি, পোশাক, রেস্তোরাঁর খাবারসহ একাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এতে দুই অঙ্ক ছাড়ানো মূল্যস্ফীতি আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
অবশ্য অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক বিষয়ক গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে। জনস্বার্থে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের শুল্ক কর হারে ব্যাপক ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, এসডিজি বাস্তবায়ন, এবং জাতি হিসেবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি ও হার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে এনবিআর নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, গত চার মাসে বাজারে নিত্য পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চাল, আলু, পেয়াজ, চিনি, ডিম, খেজুর, ভোজ্যতেল, ও কীটনাশকসহ আটটি পণ্যে আমদানি, স্থানীয় ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে জনস্বার্থে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ছাড় দেওয়া হয়। এতে রাজস্ব আদায় ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ব্যতিত অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি করা না গেলে বিপুল পরিমান বাজেট ঘাটতি দেখা দিবে।
এনবিআর বলছে, ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভ্যাট, সম্পুরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের হার ও পরিমান যৌক্তিকিকরণের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪ -২৫ অর্থবছরের মধ্যবর্তী সময়ে এনবিআরকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
/এএস