রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক নীতিতেই আগ্রহ সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম

শেয়ার করুন:

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক নীতিতেই আগ্রহ সরকারের
ছবি: সংগৃহীত

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে। তবে আগামী বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এক্ষেত্রে সংকোচনমূলক নীতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে অর্থনী‌তির সাংবা‌দিকদের প‌ক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রে‌খে‌ছেন। আমরা এ নি‌ষেধাজ্ঞা প্রত্যাহা‌রের দা‌বি জানালেও গভর্নর মা‌নে‌ননি। এজন্য আজ‌ গভর্নরের বক্ত‌ব্য আমরা বর্জন কর‌ব। এতে পুরো সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চুপ থাকেন গভর্নর। ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্ট, মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকার আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। মূল্যস্ফীতি এখনো আমাদের দেশে ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের জন্য মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে রাখা সম্ভব হয়েছে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ওএমএস এবং ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে যে কার্যক্রম চলছে, তা চলমান থাকবে। প্রয়োজনে এগুলো আরও বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি যেহেতু আমাদের এখন প্রধান অগ্রাধিকারের বিষয় তাই সংকোচনমূলক নীতিকৌশল আরও কিছুদিন চলমান থাকবে। তবে এর ফলে আমাদের প্রবৃদ্ধি যাতে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও আমরা লক্ষ রাখছি। শিল্প এবং সেবা খাত যেন তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে পারে সেজন্য সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর ফলে সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। আগামী অর্থবছরে আমরা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হব।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

সাংবাদিকদের বয়কটের ঘোষণায় সংবাদ সম্মেলনে ‘চুপ’ গভর্নর

আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ, যা বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থিক মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ পেনশন ব্যবস্থাপনার তহবিল পরিচালনার ব্যয় সরকার বহন করায় ও বিনিয়োগের মুনাফা জমাকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায়, এটি হবে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পেনশন কর্মসূচি। সরকারি চাকরিজীবীদেরও বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির (স্কিম) আওতায় নিয়ে আসা হবে। পেনশন সুবিধা পান, এমন সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের আমরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসব। স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের ইতোমধ্যে এ ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। শিগগির অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্যও আমরা এ ব্যবস্থা চালু করব।

Buget2

বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণ নির্ভরতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া এটা সব বাজেটেই সব অর্থমন্ত্রী করে থাকেন। সব সরকার করে থাকে। উন্নত দেশে আরও অনেক বেশি নিয়ে থাকে, আমরা তো মাত্র ৫ শতাংশের মধ্যে এটা ধরে রেখেছি। কাজেই এটা এত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

প্রশ্নবাণে জর্জরিত অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের ওপর ক্ষুব্ধ!

এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে অর্থমন্ত্রী বারবার প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দ্বারস্থ হন। প্রথম থেকেই বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে বিরক্তবোধ করেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বাজেটের নানা বিষয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের মান এবং ম্যাচিউরিটি নিয়েও কথা বলেন। পুরো সংবাদ সম্মেলনজুড়েই বিরক্তি প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের বিষয়ে যে পর্যায়ের প্রশ্ন আশা করেছিলাম সে রকম হয়নি। তবে বেশ কয়েকজনের প্রশ্ন বেশ ভালো ছিল। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একেবারেই নন-সিরিয়াস প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যোগ্য না আমি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি একটু ম্যাচিউরড প্রশ্ন আশা করেছিলাম। আমি খুবই নিরাশ হয়েছি। আপনারা (সাংবাদিকরা) আরও একটু পড়ে আসবেন। এভাবে অতি সরলীকরণ করবেন না। একটু ম্যাচুউরিটি নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ প্রসঙ্গ

যারা আর্থিক খাতের বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের জন্য আপনার কী বার্তা থাকবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো খোলাখুলি সব বলেছি। কোনো রাখঢাক করিনি। আপনি ঘুরেফিরে একই কথায় যাচ্ছেন কেন? এইটা তো বুঝতে পারলাম না। এটা কী ধরনের প্রশ্ন! কীভাবে প্রশ্ন করে এগুলো একটু শিখতে হবে তো। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে। এটা কোনো জার্নালিজম না। খালি এক কথাই ঘুরে ফিরে বলেন। এগুলো একটু দেখেন। দেখে একটু শেখেন। তাহলে আমাদেরও কাজ করতে সুবিধা হবে।’

বাজেটে বাজার অস্থির হওয়ার কারণ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এবারের বাজেটে এমন কিছু রাখা হয়নি যাতে করে বাজার অস্থির হবে। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে কৃষকরাও দায়ী। আপনারা জানেন, দেশে ধানের উৎপাদন বাড়লে কৃষকরা ধান বিক্রি করে তেল কিনে, সবজি কিনে। সবজি আর তেল কেনার জন্য দেখা গেল ধান বেশি করে বিক্রি করছেন। এতে করে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। রমজানের পর থেকে এখনো তেল-চিনির দাম ভারসাম্য অবস্থায় আছে। ধান-চাল আমদানিতে কর দুই-এক শতাংশ করা হয়েছে বাজেটে। এখন এক কোটি নাগরিক ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাচ্ছেন। আসন্ন বাজেটের মেয়াদে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেওয়ার কাজ চলছে। এটা হলে আরও বেশিসংখ্যক মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Budget3

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন আমাদের ভোক্তা অধিকার রয়েছে। সেটির মাধ্যমে আমরা বাজার মনিটরিংগুলো করি। ঈদকে সামনে রেখে সেটি আমরা অব্যাহত রেখেছি। বাজেটে কর মওকুফ করায় আমাদের নিত্যপণ্যের দাম কমবে। আমাদের বাজার নিয়ন্ত্রণের সাথে দেশের বিভিন্ন ঋতুতে আবহাওয়ার বিপর্যয় ঘটে। এতে করে আমরা যখন দেখতে পাই নিত্যপণ্যর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন ট্যাক্স কমিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবো। এবারের বাজেটে ১৭২টি পণ্যের ওপর শুল্ককর কমানো হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন ঋতুতে সংকট ও বিপর্যয় হয়।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সরকারের ঋণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের চেয়ে অনেক কম। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে অন্যভাগে। তবে ঋণ নিয়ে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, ঋণ তার চেয়ে অনেক কম। আমাদের প্রবৃদ্ধিটা যেন থাকে, মূল্যস্ফীতি যেন কমে যায় বা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে সরকারের ঋণ নিয়ে নেতিবাচক প্রচার করা হচ্ছে, যেভাবে প্রচার করা হয়েছিল কোভিডের। আমাদের ঋণ এখনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অনেক নিচে। অন্যদের তুলনায় এখনো অনেক ভালো আছে। জিডিপির ৩০তম দেশ আমাদের। আমরা বাজেটে প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতিকে প্রাধান্য দিয়েছি। তাছাড়া কোনো দেশের বাজেটেই লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ হয় না। উন্নত দেশে বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের ওপরে, আমেরিকায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ঘাটতি। আমাদের ঘাটতি বাজেট ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

আরও পড়ুন

কালোটাকা সাদা করা প্রসঙ্গে যা বললেন এনবিআর চেয়ারম্যান

এসময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের পর থেকে এখনো তেল-চিনির দাম ভারসাম্য অবস্থায় আছে। ধান-চাল আমদানিতে কর দুই থেকে এক শতাংশ করা হয়েছে আসন্ন বাজেটে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এখন এক কোটি নাগরিক টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাচ্ছেন। আসন্ন বাজেটের মেয়াদে আমরা ন্যায্য মূল্যে পণ্য দিতে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ দেওয়ার কাজ চলছে। এটা হলে আরও বেশিসংখ্যক মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন।

কালোটাকা সাদা করা ও খেলাপি ঋণ নিয়ে প্রশ্ন

কালো টাকা সাদা করা দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আসলে যখন এ ধরনের অ্যামনেস্টি দেওয়া হয়, তখনই সাধারণের প্রশ্ন আসে যে, এটা কালোটাকাকে সাদা করার জন্য। কিন্তু আমরা মূলত এ অ্যামনেস্টি দিয়ে থাকি বিভিন্ন কারণে অপ্রদর্শিত কিছু সম্পদ থাকতে পারে। রিটার্নে দেখানো হয়নি আগে, সেটা নানা কারণে হতে পারে। অসতর্কতার জন্য হতে পারে। অজ্ঞতার কারণে রিটার্নে দেখানো যায়নি অথবা অন্যের মাধ্যমে রিটার্ন জমা দেওয়ার কারণে হতে পারে। আমাদের অনেকেই নিজে রিটার্ন জমা না দিয়ে অন্যের মাধ্যমে রিটার্ন জমা দেন। আরও একটি বিষয় রয়েছে, সেটা আপনারা স্বীকার করবেন যে, জমি ক্রয়-বিক্রয়ে আমাদের কিছু টাকা আমাদের অজ্ঞাতেই কালো হয়ে যায় বা অপ্রদর্শিত হওয়ার সুযোগ হয়ে যায়। এ ধরনের কিছু অনিবার্য কারণে রিটার্নে যে সমস্ত সম্পদ দেখাতে পারেননি, সেই সম্পদ দেখানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য অনেক দেশেই এ প্র্যাকটিসটি আছে। আরও একটি বিষয় হল, কালো টাকা যারা তৈরি করেন, আমরা কথায় কথায় বলি, কালোটাকাকে যারা প্রশ্রয় দেন, তারা অর্থনীতিতে এই কালোটাকাকে ব্যবহারের জন্য করেন না। কালোটাকা মূলত দেশের বাইরেই বেশি চলে যায় এবং বিভিন্ন ভোগ বিলাসের কাজেই ব্যয় হয়ে যায়। সেই জায়গা থেকেই রিটার্নে বিষয়টি রাখার জন্য সুযোগটা রেখেছি।

Baget4

সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া নৈমিত্তিক কাজ। ব্যাংকে টাকা রাখলে তো সুদ বাড়ে। ব্যাংক এসব সুদ কীভাবে দেবে? এজন্য ব্যাংক টাকা বিনিয়োগ করছে। এই পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী চলমান। ব্যাংকের ব্যবসা বন্ধ না করে চালু রাখতে হবে।

ঋণখেলাপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঋণখেলাপি একদিনের নয়, দীর্ঘদিনের। সরকারের অন্যতম টার্গেট খেলাপি ঋণ কমানো। এমপিদের বিনা শুল্কে গাড়ি কেন দেওয়া হচ্ছে? এ প্রসঙ্গে মসিউর রহমান বলেন, এটা আমরা নই, এরশাদ সাহেব চালু করেছিলেন। একটা বিষয় চালু হলে সেটা বন্ধ করা কঠিন।

মসিউর বলেন, বিশ্বব্যাংকের কল্পিত দুষ্ট ব্যক্তি আমি ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী পাশে না থাকলে এখানে কথা বলতে পারতাম না। তবে এটা কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন।

অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ব্যাংকের তারল্যের সঙ্গে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যের কোনো সম্পর্ক নেই। ইনফ্লেশন মেজার করার জন্য কিছু টুলস আছে। সেগুলা আমরা কিছুদিন পরপর আপডেট করি। মনিটরি পলিসি বিভিন্ন পলিসি নিয়ে থাকি। এছাড়াও এবং ভোক্তাদের জন্য যে বাজার আপডেট আছে এটাও আমরা কিছুদিন পরপর আপডেট করি। মূল্যস্ফীতির কারণে যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদেরকে সহায়তা করার বাজেট বরাদ্দ অনেক বেড়েছে। এক কোটি ফ্যমিলি কার্ড ছাড়াও টিসিবির মাধ্যমে আমরা কার্ড ছাড়াও পণ্য দিয়ে থাকি। আমরা আশাবাদী যে সমস্ত ম্যাজার নিয়েছি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর