আবারও দাম বাড়ছে নিত্যপণ্যের। এক সপ্তাহের মধ্যে বেড়েছে তেল, ডাল, আটা, ময়দা ও চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। এরমধ্যে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এর আগে হঠাৎই লাগামছাড়া দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। এক লাফে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০০ টাকার বেশি। ভোক্তা অভিযানের পর সামান্য কমলেও বাজারে ২০০ টাকার নিচে মিলছে না পেঁয়াজ।
বিজ্ঞাপন
খিলগাঁও এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ এখনও উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে দিন দশেকের ব্যবধানে বেড়েছে মসলাজাতীয় আরেক পণ্য রসুনের দাম। পণ্যটিতে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। নতুন দাম অনুযায়ী দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। মূল্যবৃদ্ধির আগে দেশি রসুন ছিল ২০০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ছিল ১৮০ টাকা কেজি। ম
কিছুদিন আগে ৫ লিটার বোতলজাত ভোজ্যতেল বিক্রি হয়েছিল ৮২৫ টাকায়। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
বিজ্ঞাপন
মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় বাদ পড়েনি আটা, ময়দা ও ডালের নাম। দুই কেজির প্যাকেট আটা ও ময়দাতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা করে। বাজারে এখন আটা ১২০ টাকা ও ময়দা ১৪০ টাকা প্যাকেট (২ কেজি) বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে মুগডালের ও ১০ টাকা বেড়েছে দেশি মশুর ডালের। বাজারে মুগডাল ১৪০ টাকা ও দেশি মশুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
১০ দিনের মধ্যে এই পণ্যগুলোর দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। তাদেরই একজন আবুল হাশেম। এই বিক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার আগেই অন্য পণ্যগুলোর দাম বেড়েছে।
ফোরকান দোকান করেন বাসাবোতে। তিনি বলেন, পাঁচ লিটারে তেল এখন ৮৫০ টাকা বোতলের গায়ে মূল্য দেওয়া। এর আগে যে তেল ছিল তা ৮২৫ টাকা ছিল। আমাদের কাছে নতুন রেটের পণ্য এসেছে।
মামুন নতুন বাজার এলাকায় দোকান করেন। তিনি বলেন, রোজার পর থেকেই চড়া দামে থাকা চিনির দামও আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। কেজিতে ১৩ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চিনির দাম। প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় ও প্যাকেটের চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ থেকে ১৫০ টাকায়।
অপর দিকে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ইতোমধ্যে দাম বেশি রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে সংস্থাটি।
এইউ