রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

চুকনগরে চুই-মাংসের তেলেসমাতি

আসাফুর রহমান কাজল
প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০২:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

চুকনগরে চুই-মাংসের তেলেসমাতি

বাংলাদেশের দক্ষিণের জনপদের মানুষের কাছে চুই যতটা জনপ্রিয়, দেশের অন্য এলাকার মানুষের কাছে এই মসলা ততটা পরিচিত নয়। তবে অনলাইনে বিক্রির সুবাদে ধীরে ধীরে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এই মসলার খ্যাতি। একই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে চুই দিয়ে রান্না মাংসের খ্যাতিও। যাদের হাত ধরে এই মসলাটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এরমধ্যে অন্যতম একটি হলো খুলনার আব্বাসের হোটেল। 

এই হোটেলে রান্না চুই মাংসের এখন এতই খ্যাতি যে, দেশের বিভিন্ন এলাকা মানুষ খুলনায় আসেন এই খাবারটি খেতে। আব্বাসের হোটেলের অবস্থান খুলনা শহর থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার দূরে চুকনগর এলাকায়। 


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, আব্বাস আলী মোড়ল মাদ্রাজ থেকে রান্না শিখে দেশে এসে এখানে হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। ধীরে ধীরে তার রন্ধনশালার ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ভিন দেশের শিক্ষা আর স্থানীয় উপকরণই ছিল প্রধান হাতিয়ার। ভোজন প্রিয় মানুষের ভীড়ে বাড়তে থাকে। সাথে সুনাম। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় আব্বাস হোটেল। স্থানীয় খাশির মাংস আর দক্ষিণাঞ্চলের চুই ঝালের মিশ্রণ অন্য রকম মাত্রায় পৌঁছে দেয় আব্বাস হোটেলকে। সুখ্যাতি বাড়ে। মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে শহরেও গড়ে ওঠে চুই ঝালের মাংস রান্নার হোটেল। এর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আস্ত রসুন। 

এখন খুলনাসহ এর আশপাশের এলাকায় আব্বাস বা চুকনগর নামে বহু হোটেল তৈরি হয়েছে। এছাড়া অন্য নামেও অনেক হোটেল হয়েছে। যারা চুই ঝালের খাশির মাংস এবং গরুর মাংস রান্না করেন। সাথে আস্ত রসুন। এসব হোটেলের রান্নাও কম সুস্বাদু নয়। 

শুক্রবার বা ছুটির দিনগুলোতে খুলনার ঐতিহ্যবাহী খাবার চুই ঝাল রসুনের খাশির মাংসের হোটেলগুলো মুখরিত থাকে ভোজনরসিকদের পদচারণায়। আতিথেয়তায় অনন্য খুলনার এই খাবার পরিবেশনেও রয়েছে একটি অন্য রকমের ঐতিহ্য। সেটি হলো টেবিলে টেবিলে মাংসের গামলা নিয়ে সরাসরি প্লেটে পরিবেশন করা হয়। প্রত্যেকে তার পছন্দমতো মাংসের টুকরাটা চেয়ে নিতে পারেন। চুই ঝালের জনপ্রিয়তার কারণে খুলনার রাস্তায় এখন মুড়ি মাখাও পাওয়া যায়। যা চুই ঝাল দিয়ে তৈরি করা হয়। সেটিও বেশ মুখরোচক।

এএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর