ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে সেন্টমার্টিনে অন্যান্য স্থাপনার সঙ্গে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে মসজিদ, মাদরাসা ও বিদ্যালয়। চলছে না কোনো কার্যক্রম। মসজিদে নামাজ পড়াও বন্ধ।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোনারপাড়া এলাকায় বায়তুন নুর নামে একটি জামে মসজিদ ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের দিন সেটি বাতাসের তীব্র আঘাতে ভেঙে যায়। পাশাপাশি দ্বীপের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়ায় আমিরুল মুয়াবিয়াহ মাদরাসা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি বিদ্যালয় ভেঙে যায়।
বিজ্ঞাপন
যার কারণে শতশত মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ পড়তে পারছেন না৷ অন্যদিকে কোরআন শিক্ষা ও পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দ্বীপের ছেলে-মেয়েরা।
এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন- প্রতিদিন শতশত মানুষ নামাজ আদায় করতেন এই মসজিদে। হঠাৎ মোখার তাণ্ডবে মসজিদটি মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, নামাজ পড়ার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝড়ের দিন থেকে এই মসজিদে আজান হচ্ছে না। মুসল্লিরা ইবাদত করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এই মসজিদ নয়, পাশের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়া আমিরুল মুয়াবিয়াহ মাদরাসাও ভেঙে যায়। সেখানেও পাঠদান হয় না তিনদিন ধরে।
বিজ্ঞাপন
মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কোনারপাড়ার সেন্টমার্টিন ক্রিড প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুই শিফটে চারটি কক্ষে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হতো স্কুলটিতে।
বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা আবদুর রহমান জানান, মেরামত বা পুনর্নির্মাণের তহবিল নেই। স্কুলটি ঢাকার এক ব্যক্তি তার একটি সংস্থার নাম দিয়ে পরিচালনা করতেন। স্কুল পরিচালনা পরিষদের প্রধান চেষ্টা করছেন, তহবিল সংগ্রহ করে স্কুল ভবন মেরামত করার জন্য।
প্রতিনিধি/এসএস