স্নেক রেসকিউয়ার সহিদুল ইসলাম। সম্প্রতি সাপের সন্ধানে গিয়ে তিনি উদ্ধার করেন ৭৫টি সাপের ডিম। পরে সেগুলো পরিচর্যা করে ৭২টি বাচ্চা ফোটাতে সক্ষম হন। অতঃপর সেগুলোকে নিরাপদস্থলে অবমুক্ত করেন তিনি।
সোমবার (১৫ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উদ্ধারকারী কর্মী সহিদুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
রোববার বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ধরধরা এলাকার টাঙ্গন নদীতে জলঢোড়া সাপের এই বাচ্চাগুলো অবমুক্ত করা হয়।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল উপজেলার লাঙ্গলগাঁও এলাকার একটি বাড়ির ঘরের মেঝে খুড়ে মাটির নিচ থেকে ডিমগুলো উদ্ধার করেন সহিদুল।
সহিদুল ইসলাম বলেন, বাড়িটিতে সাপের আনাগোনা আছে এমন খবর পেয়ে সাপ উদ্ধার করতে যাই। কিন্তু কোনো সাপ পাচ্ছিলাম না। পরে ইদুরের গর্ত দেখে খোড়া শুরু করি এবং ৭৫টি জলঢোড়া সাপের ডিম পাই। সেগুলোকে নিবিড় তত্ত্বাবধান করতে থাকি। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম হতে বাচ্চা বের হতে শুরু করে। একে একে ৭২টি বাচ্চা পৃথিবীর আলো দেখতে সক্ষম হয়।
বিজ্ঞাপন
সহিদুল বলেন, এখন জলঢোড়া সাপের ডিমফুটে বাচ্চা বের হওয়ার সময়। এটি সম্পূর্ণ নির্বিষ এবং উপকারী সাপ, মানুষের জন্য ঝুকিপূর্ণও নয়। আর স্রষ্টার প্রত্যেক সৃষ্টির বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। কাজেই আশপাশে এসব সাপ দেখলে কেউ যেন সেগুলো না মারে এবং ডিম পেলে সেগুলোও নষ্ট না করে সাপ উদ্ধারকারীদের খবর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সহিদুলের বাড়ি উপজেলার ঝলই শালশিরি ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ এলাকায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উদ্ধারকারী হিসেবে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো বিরল প্রজাতির রেডকোরাল কুকরি সাপ দেখা মিলে। আহত অবস্থায় সেই সাপটি উদ্ধার করেছিলেন সহিদুল ইসলাম। এছাড়াও অসংখ্য বিষধর এবং নির্বিষ সাপ উদ্ধার এবং অবমুক্ত করেছেন তিনি।
প্রতিনিধি/এসএস