কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলায় শংকর মাধবপুর গ্রামটি ব্রহ্মপুত্র নদের কারণে রাজিবপুর উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন। এই এলাকার মানুষগুলো অনেক অসহায় ও হতদরিদ্র। এমন একটি হতদরিদ্র পরিবারের অভিভাবক জবেদ আলী।
কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামের মো. জবেদ আলী পেশায় দিনমজুর। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। ছোট্ট একটি ঘরে তাদের বসবাস। পাটখরের বেড়া ও চালা দেখলেই তাদের দারিদ্রতা স্পষ্ট হয়ে উঠে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তাদের একসময় ফসলি জমি ছিল, যা দিয়ে দুবেলা ঠিকমতো খেতে পারতো। কিন্তু সর্বগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদী সব যেন গিলে খেয়েছে। বর্তমানে যে জমিতে তাদের বসবাস, সেটিও অন্যের দেওয়া।
চার ছেলেমেয়ের মধ্যে মেয়েটি বড়। বর্তমান সে রাজিবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। কিন্তু তার পড়ালেখার খরচ যোগাতে অসহায় বাবার যেন হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পরিবারটি খুবই অসহায়। সরকার থেকে যা প্রণোদনা পায় তা দিয়ে ৬ জনের সংসার ঠিকমত চলে না। কখনও কখনও না খেয়ে থাকতে হয়। তাই সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরা যদি পাশে দাড়ায়, তাহলে তারা দুবেলা দুমুঠো ঠিকমত খেতে পারবে।
রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর জবেদ আলীর দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারের অসহায়ত্বের ব্যাপারে আপনার মাধ্যমে প্রশাসন অবগত হয়েছে। এ ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারটির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এমএইচটি