যশোরের বাঘারপাড়ায় এক ইউপি সদস্যকে প্রকাশ্যে মারপিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে নারিকেলবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন আনসার মাস্টারের বাড়ির পাশে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। এরপরই মারপিটের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই হামলার শিকার ইউপি সদস্য জাহিদ হাসান ৫ জনের নাম উল্লেখ করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ইউনিয়নের ১১ জন ইউপি সদস্য। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।
মারপিটের শিকার ইউপি সদস্য জাহিদ হাসান উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বলরামপুর গ্রামের মৃত ওহাব বিশ্বাসের ছেলে।
ভাইরাল হওয়া এক মিনিট ৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, সাদা টি-শার্ট পরিহিত স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টুটুল গাছের ডাল ও কালো টি-শার্ট পরিহিত শামীম হাসান শাপলা কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন ইউপি সদস্য জাহিদ হাসানকে। মারপিটের এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় স্থানীয় কয়েকজন নারী বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে লাঞ্ছিত করা হয়। ঘটনাটি এক যুবক ভিডিও ধারণ করে শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। যা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য জাহিদ হাসানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রবিউল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহার মদদে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী শাপলা, টুটুল, তৌহিদুল চিহ্নিত মাদকসেবী। তারা চেয়ারম্যানের পেটোয়া বাহিনী। হামলাকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউপি সদস্যদের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার বিকেলে হামলা চালানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— ইউপি সদস্য মাসুদ কাইসার, শামছুর রহমান, ফেরদৌস খান সোহাগ, হাফিজুর রহমান, আদম আলী, সোহরাব হোসেন মন্ডল, খালেদা সুলতানা, হাসিয়া খাতুন, রেবা খাতুন, হামলার শিকার জাহিদ হাসান। এসময় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাদিউজ্জামান মুকুল ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা আমার লোক না।
ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানান, মামলা রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
টিবি