কোচিং সেন্টারে ভর্তি না হয়ে নিভৃত পল্লীর বাড়িতে পড়াশোনা করে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মাগুরার মনিরা। শুধু তাই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে তেমন কারো কাছে প্রাইভেটও পড়েননি মনিরা।
মনিরা আক্তার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামের স্থানীয় নাকোল সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর জিপিএ ফাইভ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তিনি সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
মনিরা ঢাকা মেইলকে জানান, কলেজ জীবনে তিনি কোনো বিষয়ে আলাদা করে প্রাইভেট পড়েননি। কয়েক মাসের জন্য তার এক মামার কাছে সব বিষয়ে পড়াশোনা করলেও দ্বিতীয় বর্ষে তিনি কারো কাছেই প্রাইভেট পড়েননি। এইচএসসি পাশ করার পর সবাই ঢাকা-খুলনায় গিয়ে কোচিং শুরু করলেও মনিরা কোথাও যায়নি।
মনিরার বাবা খায়রুল খান বলেন, আমি প্রবাসে চাকরি করতাম। এখন বাড়িতেই আছি। পারিবারিক, আর্থিক সব মিলিয়ে ঢাকা বা খুলনায় কোন কোচিং সেন্টারে ওকে পড়ানো সম্ভব ছিল না আমার জন্য। কিন্তু মেয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। সে বাড়িতে বসেই পড়াশোনা করেছে। কখনো অনলাইনের সহযোগিতা নিয়েছে। কিছুদিন অনলাইনের মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে একটা কোচিংয়ের সহযোগিতা নিয়েছে। কিন্তু ফেসবুক, ইউটিউব এসবের প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না ওর।
মনিরা জানান, আমি চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখিনি। সবাই বলতো, এভাবে বাড়ি বসে মেডিকেলে চান্স পাওয়া যায় না। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমি চেষ্টার ফল পেয়েছি। তবে আমার এ সাফল্যের পিছনে বাবা মা, কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, অনলাইনের শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান সাদাবের ভূমিকা অনেকখানি।
বিজ্ঞাপন
নাকোল সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খান ফজলুর রহমান বলেন, ইচ্ছা শক্তি থাকলে সবকিছু সম্ভব তা মনিরা প্রমাণ করেছে। প্রচলিত সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত একটি মেয়ের পক্ষে নিভৃত পল্লীতে অবস্থান করেও যে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব তা সে প্রমাণ করলো।
টিবি