মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

পাকুন্দিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শীতকালীন পিঠা উৎসব

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

পাকুন্দিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শীতকালীন পিঠা উৎসব

আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে লালিত মজার মজার পিঠা-পুলি নিয়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শীতকালীন পিঠা উৎসব। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে উপজেলার চরকাওনা গ্রামসহ উপজেলার পিঠাপ্রেমিদের মাঝে ব্যাপক  উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ডিসেম্বর) দুপুর থেকে শুরু করে সন্ধা পর্যন্ত চরকাওনা কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে ৩টায় পিঠা উৎসব  উদ্বোধন করেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলীন শহিদ চৌধুরী। 


বিজ্ঞাপন


তানভীর হাসানের সভাপতিত্বে ইটনা উপজেলার ধারা এসইএসডিজিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, নাট্যকার আবুল হাশিম বুলবুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহাখালী সাহিক হাসপাতালের পরিচালক, নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা.মো.সামাদ,পাকুন্দিয়া সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ কফিল  উদ্দীন,জাংগালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল আহম্মদ,হোসেনপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

বাহারি পিঠার স্টল সাজিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।  দুপুর থেকে দর্শনার্থীরা তাদের পছন্দের পিঠা কিনতে ভিড় জমায় এ উৎসবে।
স্টলগুলোতে ১০টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের পিঠা কিনতে পাওয়া গেছে। পিঠা-পুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ভাঁপা,পাকন,খেজুর পাতার মিষ্টি পিঠা,পুলি,পাটিসাপটা, ভাজা শুটকি পিঠা,ফুল পিঠা,চিতই,চেঁপা পিঠা, মালা পিঠা, পয়সা পিঠা, মাছের সমুচা, দুধ পুলিসহ প্রায় ৭২ ধরনের পিঠা।

পিঠা উৎসবে আসা মোস্তফা কামাল তানসেন নামের এক  দর্শনার্থী বলেন, শীত আসলেই গ্রামের মায়েরা ঘরে ঘরে বিভিন্ন পিঠার আয়োজন করেন। এতে শীতকালীন পিঠার তৃপ্তিভরে স্বাদ নেয়া যায় তবে পিঠার উৎসব মানেই হরেক রকম বাহারি পিঠার স্বাদ গ্রহণের অন্যরকম অনুভূতি জাগায়।

রাফসান নামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জানান, নিজের স্মৃতি বিজড়িত প্রতিষ্ঠানে এ আয়োজনে নিজে গর্বিত। কারন গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্য ছড়িয়ে দেয়ায় নিসন্দেহে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে।


বিজ্ঞাপন


উৎসবের উদ্যোক্তাদের একজন চরকাওনা কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত  সুপারিন্টেন্ডেন্ট হামিদা খাতুন জানান,খুব কম সময়ের আয়োজনে এতো মানুষের সাড়া পড়বে তিনি কল্পনা করতে পারেননি। দর্শনার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে আগামিতে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর