শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রনির শয্যাপাশে জিএমপি কমিশনার, সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৫৮ পিএম

শেয়ার করুন:

রনির শয্যাপাশে জিএমপি কমিশনার, সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস

বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে দগ্ধদের খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন জিএমপি কমিশনার। এ সময় তাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। সেই সঙ্গে দগ্ধ আবু হেনা রনি ও জিল্লুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের কাছে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।


বিজ্ঞাপন


এ সময় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আহতদের চিকিৎসায় ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।’

আরও পড়ুন: পুলিশের অনুষ্ঠানে বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে কমিটি

এছাড়া আবাসিক চিকিৎসক ডা. আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘আবু হেনা রনির শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে এবং এক পাশের কানও পুড়ে গেছে। এছাড়া পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের শরীরের ১৯ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তারও শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আমরা এখনও তাদের শঙ্কামুক্ত বলতে পারছি না।’

এর আগে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলাকালে বেলুন বিস্ফোরণ হয়ে পাঁচজন দগ্ধ হন। তারা হলেন- কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, গাজীপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন, গাছা থানার কনস্টেবল রুবেল মিয়া, টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল জিল্লুর রহমান এবং গাছা থানার আরেক কনস্টেবল মো. ইমরান হোসেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারী পোশাক শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ওই ঘটনার পরপরই দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

এ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ক্রাইম উত্তর উপ-পুলিশ কমিশনারকে সভাপতি করে ইতোমধ্যেই চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিইউ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর