বাগেরহাটের কচুয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকা থেকে মহিউদ্দীন হাওলাদার (৫০) নামের ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মহিউদ্দীন ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আসামি করে কচুয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার ১২ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগ, দোবারিয়া গ্রামের মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী সখী বেগম পেশাদার নারী পাচারকারী ও দেহ ব্যবসায়ী। বেশ কিছুদিন আগে সখি বেগম আমার মেয়েকে তার ঘরে ডেকে নেয়। তখন তার স্বামী মহিউদ্দিন হাওলাদার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। সখি বেগম ধর্ষণের ছবি তুলে রাখে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে, মেয়েকে খুলনায় বড় মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু ১৩ আগস্ট বিকেলে বড় মেয়ের বাড়ি থেকে মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় সখি বেগম ও কালাম সরদার। দুইদিন পরে ১৫ আগস্ট সকালে রুপসা ভ্যানস্টান্ডে অসুস্থ অবস্থায় আমার মেয়েকে ফেলে রেখে যায় তারা। মেয়ে সবকিছু খুলে বললে, আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ১৭ আগস্ট হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসি।
নির্যাতনের শিকার কিশোরী বলেন, ‘মহিউদ্দিন হাওলাদার ধর্ষণ করেছে এবং তার স্ত্রী সখি বেগম সেই ছবি তুলেছে। পরে আমাকে ভয় দেখিয়ে খুলনার একটি বাসায় নিয়ে রাতে মহিউদ্দিন হাওলাদার, বাস চালক কালাম সরদার ও ওই বাড়িতে থাকা আরও একজন পুরুষ আমাকে ধর্ষণ করে। তারা আমাকে জোর করে যৌন উত্তেজক ওষধও খাইয়েছিল। আমি এর বিচার চাই।’
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহামুদ হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনান্থল পরিদর্শন করে এবং তদন্ত কাজ শুরু করে। রাতে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মহিউদ্দীন হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এএ