ঝিনাইদহের হারুন অর রশিদ মুছা। পেশায় মূলত একজন স্কুল শিক্ষক। লাভবান হয়েছেন মেক্সিকান ফল অ্যাভোকাডো বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে। তার সাফল্য দেখে অন্যরাও ঝুঁকছেন এ ফল চাষে।
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র মুছা স্থানীয় কাগমারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় বিষয়ের শিক্ষক।
বিজ্ঞাপন
মুছা জানান, তার বাবা ছিলেন, গ্রামের মধ্যে একজন বড় কৃষক। তাই ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফলফলাদির গাছ লাগাতেন। তারা দুই ভাই ও তিন বোন।
পৈত্রিক সূত্রে ২০ বিঘা জমি পেয়েছেন মুছা। এগুলোতে ফলফলাদির চাষ করে কমপক্ষে আরও ১৫ বিঘা জমি কিনেছেন। পরিশ্রমী মুছা জানান, ২০০৫ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম বাউকুল চাষের মাধ্যমে অনেক ২০ লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। ২০১৯ সালে বিদেশি ব্যয়বহুল ফল অ্যাভোকাডোর চারা জোগাড় করে রোপণ করেন। এরপর পরিচর্যার মাধ্যমে গত ২ বছর যাবত সেই গাছে ফল ধরা শুরু হয়েছে। এ বছর প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। যা ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার ফল ব্যবসায়ীরা অনলাইনেও কিনছেন।
>> আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ব্রি ধান-৯৮ চাষে সাফল্য: ফলন বিঘা প্রতি ২২ মণ!
বসতবাড়ির সঙ্গে লাগোয়া প্রায় ৫ বিঘা জমিতে এই ফল ছাড়াও বিদেশি সাদা ড্রাগন, পারসিমন, লংগান, সাদাজাম, গোলাপ জাম, মালবেরি, ব্লাকবেরি, সুইটলেমন, ইসরায়েলি বাতাবি, চায়না বাতাবি, করোসাল, মিশরীয় কমলা, দার্জিলিং লেবু, ব্লাক গেন্ডারীসহ কমপক্ষে ২৫ প্রকারের বিদেশি পুষ্টিকর ফলের চাষ করেছেন মুছা। অ্যাভোকাডোর চারা বিক্রিও করছেন তিনি।
বাগানের শ্রমিক মো. গোলাম রসুল জানান, কয়েক বছর ধরে আমরা ৮ জন শ্রমিক প্রতিদিন মুছা ভাইয়ের জমিতে কাজ করছি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহসীন আলী জানান, অ্যাভোকাডো ফল পুষ্টিগুণে ভরা। এ ফলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগীদের পথ্য হিসেবে কার্যকর। এ ফলে অধিক পরিমাণে মানবদেহের জন্য উপকারী ফ্যাট রয়েছে। যা শরীর গঠনের জন্য উপকারী।
তিনি আরও জানান, অ্যাভোকাডো চাষের জন্য এ দেশের মাটি ও আবহাওয়া বিশেষ উপযোগী হওয়ায় এ ফল চাষে সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি এবং তাকে (মুছা) বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এএ

