রোপা আউশ মওসুমে ব্রি ধান-৯৮ এর ফলন দেখে মানিকগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার পূর্ব-দাশরা এলাকার পঠলের চকে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা মাঠে আনন্দে আগের দিনের বিভিন্ন রকমের গান গেয়ে ধান কাটছেন। কৃষকের গান ভেসে আসছে চকের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে।
রোদের উজ্জল হাসি, বাতাসে দুলছে পাকা সোনালী ফসল ধান। তারই মাঝখান দিয়ে হেঁটে হেঁটে মাঝ চকে কৃষক আব্দুল্লাহ আল মুরাদ সেলিম এর কাছে পৌঁছালাম। দেখি গান গাইতে গাইতে মনের সুখে ধান কাটছেন তিনি।
>> আরও পড়ুন: যশোরে ১৭ ইঞ্চির এই গরুটির দাম হাঁকানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা
বিজ্ঞাপন
এই রোদে কষ্ট করে ধান কাটছেন, তাও এত আনন্দ কেন? —জানতে চাইলে কৃষক সেলিম বলেন, আনন্দ লাগছে সোনালী ধান দেখে। এই সময় জমিতে এত ধান হবে ভাবতে পারি নাই। গত বছরগুলোতে আউশ মওসুমে যে পরিমাণ জমিতে সর্বোচ্চ ভালো হলে ৫ মণ ধান পেতাম। আর এবছর সেখানে ব্রি ধান-৯৮ রোপণ করে ২২ মণ ধান পাবো বলে আশা করছি। সেই কারণে এত আনন্দ।
পোড়রা গ্রামের কৃষক মো. আলমগীর বলেন, আমি অনেকের কাছে এই ধানের কথা শুনেছি। তাই দেখতে এসেছি। ব্রি ধান-৯৮ জাতটা খুব ভালো। এই জাতের প্রতিটি ক্ষেতে ভালো ধান হয়েছে। চিটা নেই বললেই চলে। প্রতিটি ক্ষেতের ধান গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে মাথায় বড় বড় ধানের ছড়া নিয়ে। সোনালী ফসল বাতাসে দোল খাচ্ছে। দেখে খুব ভালো লাগলো। আমিও আগামী বছর আউশ মওসুমে আমার ৯০ শতাংশ জমিতে এই ধান রোপণ করব।
ব্রি৯৮ ধানের ফলন পরিদর্শনে এসে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, এবার প্রথম আউশ মওসুমে ব্রিধান৯৮ জেলার ৩টি উপজেলায় রোপণ করা হয়েছে। ১০০র উপরে কৃষক ১ হাজার বিঘা জমিতে রোপণ করেছেন। এই ধানটা মোটা না চিকন। সে কারণে মানুষের কাছে চাহিদা থাকবে।
>> আরও পড়ুন: লাল নিশান উড়িয়ে কিশোর বাঁচালো হাজারও যাত্রীর প্রাণ
এ জাতের ধানে বিঘা প্রতি ২২ মণ ফলন হয়। কৃষক এই ধান দেখে আগামীতে তাদের জামিতে রোপণের জন্য আগ্রহ করছেন। সে জন্য এবছর এই জাতের সব ধান রেখে দেব বীজের জন্য। যাতে আগামী বছর আউশ মওসুমের সময় এই বীজ কৃষকদের দিতে পারি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বিঘা প্রতি আমাদের ফসল উৎপাদন বাড়ানো।
তিনি বলেন, এই ধানে পোকামাকড়, সেচ ও সার কম লাগে। এমনকি ৩ মাসের মধ্যেই ধানটা কাটা যায়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এএ

