বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

লাল নিশান উড়িয়ে কিশোর বাঁচালো হাজারও যাত্রীর প্রাণ

আশিকুর রহমান মিঠু
প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২২, ০৯:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

লাল নিশান উড়িয়ে কিশোর বাঁচালো হাজারও যাত্রীর প্রাণ
ছবি : ঢাকা মেইল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় আপলাইনে বন্ধ ছিল রেল চলাচল। এ ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন ঢাকাগামী চট্টলা এবং বিজয় এক্সপ্রেসে ট্রেনের হাজারও যাত্রী। 

সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার ছোটহরণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


মো. শিপন নামে এক কিশোরসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে লাল নিশান উড়িয়ে থামিয়ে দেয় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ছোটহরণ এলাকায় অতিরিক্ত গরমের কারণে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার বিষয়টি চোখে পড়ে স্থানীয়দের। তবে এ সময়ের মধ্যে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেসে ট্রেনটি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি চলে আসে।

b.baria

ট্রেনটিকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে বিপদ সংকেত দিতে স্থানীয় কিশোর মো. শিপনসহ কয়েকজন মিলে লাল কাপড় দিয়ে ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু হাতের কাছে লাল কাপড় না পাওয়ায় স্থানীয় আরেক নারী রাফিয়া তার লাল রঙের একটি কাপড় দেন শিপনকে।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত তাপদাহে বেঁকে গেল রেললাইন 

এরপর সেই কাপড়টিকে নিশান বানিয়ে ট্রেন থামার সংকেত দেওয়া হয়। বিপদ বুঝতে পেরে চালকও ট্রেন থামিয়ে দেন। এ ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় চট্টলার হাজারও যাত্রী। পরবর্তীতে খবর পেয়ে রেলওয়ের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইনে পানি ঢেলে ঠাণ্ডা করে মেরামত কাজ শুরু করে। 

বিকেল ৪টার দিকে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

b,baria

কিশোর শিপন জানায়, সে ছোটহরণ এলাকার রেল সেতুতে উঠে দেখতে পায় রেললাইন বেঁকে গেছে। এ সময় চট্টলা ট্রেনটি বেঁকে যাওয়া লাইনে আসছিল। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় আরও কয়েকজনকে নিয়ে ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করে। পরে তারা এক নারীর কাছ থেকে লাল কাপড় নিয়ে নিশান বানিয়ে হাত উচিয়ে ট্রেন চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ট্রেন থামানোর জন্য। পরে চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রেন থামিয়ে দেয় বলে জানায় শিপন।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, রেললাইন বেঁকে যাওয়ার খবর আমরা আগেই জানতে পেরেছিলাম। তবে স্থানীয়দের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। অন্যথায় অনেক প্রাণহানি ঘটার শঙ্কা ছিল।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর