কলেজছাত্র মামুনকে (২২) বিয়ে করে খবরে আসা শিক্ষিকার মৃত্যু দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যা করা হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে স্থানীয়দের বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় এক ভাড়া বাসায় কলেজশিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহটি পাওয়া যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু: চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেই বাড়ির কেয়ারটেকার
তবে খাইরুন নাহারের স্বামী মামুন দাবি করেছেন তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে প্রতিবেশীরা বলছেন যে, তারা মামুনের ডাকে ঘরে গিয়ে খাইরুন নাহরের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।

ওই ভবনের বাসিন্দা ও স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানায় তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু: যা বলছেন প্রতিবেশীরা
খাইরুনকে এমন অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন এবং মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ মামুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছে।
মরদেহ উদ্ধার ও মামুনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না কেন এমনটা ঘটলো কেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু ঘিরে ভার্চুয়াল জগতে নানা প্রশ্ন!
গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
একে

